নয়া কণ্ঠ ডেস্ক
জ্যৈষ্ঠের ভয়াবহ তাপপ্রবাহে ছটফট করছে জনজীবন তার মধ্যে আবার ঘন ঘন লোডশেডিং এ আরো দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে জনজীবন।
দেশের বিভিন্ন এলাকায় চলছে মৃদু, মাঝারি ও তীব্র তাপপ্রবাহ। এই বেহাল দশা থেকে সহসাই মুক্তির আশাও দেখা যাচ্ছে না। তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে বিদ্যুতের চাহিদাও বেড়েছে। আবার জ্বালানি সংকট ও রক্ষণাবেক্ষণের কারণে বেশ কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন এখন বন্ধ। এ অবস্থায় চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারছে না বিদ্যুৎ বিভাগ। এদিকে বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্টরা এখন নির্ভর করছেন বৃষ্টির ওপরে। তাপমাত্রা কমে এলে বা এক পশলা বৃষ্টি হলেই বিদ্যুতের চাহিদা ৩ থেকে ৪ হাজার মেগাওয়াট কমে আসবে।
বিদ্যুৎ বিভাগের দায়িত্বশীলদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঢাকায় এখন লোডশেডিং হচ্ছে গড়ে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা করে। কোথাও কোথাও ৮ ঘণ্টা। বর্তমানে দেশে বিদ্যুতের দৈনিক চাহিদা ১৬ হাজার মেগাওয়াটের বেশি। কিন্তু উৎপাদনে ঘাটতি থাকছে ৩ হাজার মেগাওয়াট। মধ্য রাতে সাড়ে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত লোডশেডিং হচ্ছে। বিতরণ কোম্পানিগুলো বলছে, প্রচণ্ড গরমে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ায় এবং উৎপাদন ঘাটতিতে বাধ্য হয়ে লোডশেডিং করতে হচ্ছে।