
শীতকাল
মোঃ মাসুদুর রহমান
শীতলি শ্যামল, সমীর কোমল, সাদা চারিদিক
মাঠ ভরা ধান,পুলক প্লাবন,উরুক আনন্দে কৃষক
অশ্রু রূদয়,ভেদি বঞ্চনায়,শুধিবে তোমার ঋণ
দুলে পাতা, বাঁচায় মাতা,ভুলিবে তুমি সেই অভাব অনটন
তাদের দান, বাঁচে প্রান,অঙ্কিত বুকে সব বাবু-সাব
পেট মোটা,পাশান বেটা, ঘুষের রুজি চলে ভাব।।
দরজার ঘরে, অতিথির বরে,অষ্টপ্রহরে নবান্ন উৎসব
মুখে হাসি,দশ জন বসি, চায়ের হর্ষ তাজ্জব অভিনব
দানে বিন্দু,হে নৃপেন্দ্র, কৃপণ তাহার নিঃস্বার্থে হস্ত
করে বিন্দু দান,হয় মহান, অত্যাচারে মান মস্ত
বাংলার হাসি, কৃষক দাসি,তব তার এ প্রফুল্ল জীবন
চিত্ত ব্যাথা,ভূপতির মাথা, অগ্নি লহরী নহর।।
আহা, কেমনি বাতাস বহে,শীতে স্তব্ধ শরীর
প্রভাত হলো,রবির দীপ্তি জাগো,উত্তাপ্ত করো দেহ প্রাচির
ভাঙ্গা কুটির,অর্ধ উলঙ্গ কৃষক, প্রভাতে কাটে ধান
বস্ত্রবিহীন, হলো শীতল,উত্তাপ্ত করে দাও দেহ প্রাণ
আদিত্য জ্যোতি,শীতল প্রভাতী,অপেক্ষা অরুনের
উঠানে ধান,নাচে মন,উত্তাপ্ত হোক অন্নচির।।
পশ্চিমের চরে, কাশফুল ভরে,বাকা শ্রোতধারা দুইপার্শ্বে
হালকা বাতাসে,দোলখা আকাশে, কেমন ছবি প্রকৃতির
শীতের জ্বালা,স্বানে ফুরায় বেলা,কাপে হাত পা-সর্বঙ্গ
বন্ধ কর নাওয়া,চল বাড়ি ধাওয়া, শিউরে ওঠে গাত্র
খোকা বলে,নামবো না জলে, চলে যাক এ জীবন
অগ্নি হুতাশন, হবে গোঁ মরন, যদি স্বান করো জলে।।
মুক্ত স্বাধীন,বেলা ক্লান্তিহীন,ছাত্রের নাহি হেলা কোন
কিসের প্রভাত, হলো রাত,আসি যায় বেলা কর্মবিহীন
পুকুর পাড়ে মগ ডালে, ঘুঘুর বাসা বাঁধে এই কালে, চারিদিক খোলা পল্বল
বন-বাদাড়ে, পুকুর পাড়ে, তল্লাশি চলে সে ঘুঘুর পাল
জ্বলোরে জ্বালো অগ্নি জ্বালো, রাত হলো, বাল্যের উল্লাস
নিল স্বপ্ন শীতের,পাখি প্রভাতের,বড় ভাবনা গড়ি আকাশ।।
বিকেলের মাঠে,ধুলো উরায়ে যায় হাঁটে,ওঠাও ধান
এলো রাত,বৃদ্ধ মহৎ, অতিকষ্টে বাঁচে প্রান
ভাঙ্গে আসি হাত-পা, গাত্রে ব্যাথা,অকাল অগ্নি হুতাশন
পরিলো নিশির, বিন্দু শিশির, বৈচিত্র্য মনোহর
যাতনা-প্রমোদ,এই সবাই আপন,গাত্রি প্রানের
বৈচিত্র্যের নাহি শেষ, বেলা বেশ,সেকি রহম প্রভুর।।