নেত্রকোনা -৪ আসনে ২ সেপ্টেম্বর উপনির্বাচনে কে হচ্ছেন নতুন সংসদ সদস্য
সোহেল খান দূর্জয় : নেত্রকোনা
আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য রেবেকা মমিনের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া আসনে উপনির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষিত তারিখ অনুযায়ী, আগামী ২ সেপ্টেম্বর আসনটিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। রবিবার (১৬ জুলাই) নির্বাচন কমিশনের সভা শেষে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৪ জুলাই। মনোনয়নপত্র বাছাই ২৫ জুলাই। প্রার্থীরা ২৬ থেকে ২৮ জুলাই পর্যন্ত আপিল করতে পারবেন। আপিল নিষ্পত্তি করা হবে ২৯ ও জুলাই। প্রার্থিতা প্রত্যাহার ৩১ জুলাই এবং প্রতীক বরাদ্দ ১ আগস্ট।
২ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ভোট অনুষ্ঠিত হবে ব্যালট পেপারে। নির্বাচন সিসি টিভিতে পর্যবেক্ষণ করা হবে না। প্রসঙ্গত, নেত্রকোনা-৪ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য রেবেকা মমিনের মৃত্যুতে গত ১১ জুলাই এই আসনটি শূন্য হয়। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি কেন্দ্রীয় নেতাদের বৈঠকে বলেছেন- দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা সব দলের অংশগ্রহণ চাই। এরেই ধারাবাহিকতায় নেত্রকোনা-৪ আসনে (২ সেপ্টেম্বর) সংসদ উপনির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ চায় আওয়ামীলীগ। প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ণ ভোটে যাকেই নৌকা দেওয়া হবে তাকে নিজ গুণে জিতে আসতে হবে। কোনো ঝুঁকি নিবে না ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ।
এই আসনের উপনির্বাচনে নৌকার প্রার্থী হিসেবে, আলোচনায় রয়েছেন যারা, ডাক টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার, শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সাবেক সদস্য মমতাজ হোসেন চৌধুরী, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ নেতা শফি আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব সাজ্জাদুল হাসান ও সাবেক বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক গোলাম বাকী চৌধুরী।
নেত্রকোনা-৪ আসনে উপনির্বাচনের প্রার্থী জরিপ চলছে। জরিপের আলোকে প্রার্থী বাছাই করা হবে। নেত্রকোনা-৪ আসন যাকে দিয়ে বিজয়ী হওয়া সম্ভব তাকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর এমন কথায়- আশাবাদী হয়ে উঠছে নেত্রকোনা-৪( মোহনগঞ্জ-মদন- খালিয়াজুরী) আসনের হাওরাঞ্চলের সাধারণ জণগন। নেত্রকোনা-৪ আসনের সাধারণ জনগণ মনে করেন- নিজগুণে যদি জিততে হয় তবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মদন-এলাকায় এই আসনে নৌকার প্রার্থী নিশ্চিত করতে হবে। কারণ বিএনপির সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এই আসন। এই আসনের সাবির্ক উন্নয়ন হয়েছে তার হাতধরেই। আগামী(২ সেপ্টেম্বর) উপনির্বাচনে জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের এমপি প্রার্থী হিসেবে মদনেই সুনিশ্চিত করতে হবে।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ আওয়ামী লীগ-যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নতুন প্রজন্মের নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন, এই আসনের অত্যন্ত আস্থাভাজন ও তাদের সুখ-দুঃখের অংশীদার হিসেবে যাকেই পাবে আগামী(২ সেপ্টেম্বর) উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য এমপি প্রার্থী হিসেবে দেখতে চায়। এ আসনের উঠতি ভোটারদের মতে স্থানীয় রাজনীতিতে যে সুসংগঠিত কাজ করেছে তাকেই এই আসনের উপনির্বাচনে নৌকার প্রার্থী হিসেবে দেখতে চায় সাধারণ জনগণ।
এই আসনের স্থানীয় জনগণ যাকেই সবসময়েই কাছে পায়, থাকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন। তাই স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা-কর্মীগণ এমন একজন কর্মীবান্ধব নেতা চায়, যে কিনা এমপি হিসেবে এই আসনের সাধারণ জনগণের কাছে থাকবে সবসময়। একদম তৃণমূল থেকে কিভাবে দলকে সু-সংগঠিত রাখতে হয়। কিভাবে তৃণমূলের একজন নেতা-কর্মীর মন জয় করা যায় এসব গুণাবলী যার মধ্যে বিদ্যমান থাকবে থাকেই আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই আসনের সাধারণ জনগণ এমন একজন ব্যক্তিকে নেতা হিসেবে দেখতে চায়, যাকে সবসময় তারা কাছে পাবে। তাই এই আসনের সাধারণ জনগনের বড় রকমের একটা আস্থা তৈরী হয়েছে আওয়ামী লীগ এই আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী বাছাই কোনো রকম ভুল সিদ্ধান্ত নিবেন না।