শেরপুর ঝিনাইগাতীতে কালঘোষা নদীতে একটি স্লূইস গেইট পাল্টে দিতে পারে হাজারো কৃষকের ভাগ্যের চাকা
আল আমিন স্টাফ রিপোর্টার্সঃ শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের কালঘোষা নদীর গান্দিগাঁও এলাকায় একটি স্লূইচ গেইট পালটে দিতে পারে ২ হাজার কৃষকের ভাগ্যের চাকা।
এখানে একটি স্লূইস গেইট নির্মানের দাবি দীর্ঘ দিনের। দেশ স্বাধীনের পর থেকেই এ নদীর উপর একটি স্লূইস গেইট নির্মানের দাবি উঠে কৃষকদের পক্ষ থেকে ।
গান্দিগাঁও গ্রামের ইউপি সদস্য মানিক মিয়া ও কৃষক দুলাল মন্ডল, বলেন এ নদীর উপর একটি স্লূইস গেইট নির্মানের জন্য জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় আশ্বাসও পাওয়া গেছে। কিন্তু আজো তা বাস্তবায়িত হয়নি। এখানে একটি স্লূইস গেইট না থাকায় যুগযুগ ধরে এলাকার প্রায় দুই হাজার একর জমি অনাবাদি থাকে।
অনাবাদি এসব জমিগুলো আবাদের আওতায় আনতে কৃষকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালে এখানে একটি স্লূইস গেইট নির্মানের জন্য জরিপ কাজও করে এলজিইডি।
জাইকার অর্থায়নে ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে এ স্লূইস গেইটটি নির্মানের জন্য প্রস্তাব ও প্রেরন করা হয়।
কাংশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, ইউপি সদস্য গোলাপ হোসেন, আরো অনেকেই বলেন,এ নদীর উপর একটি স্লূইস গেইট নির্মান করা হলে, গান্দিগাঁও হালচাটি, নওকুচি, বাকাকুড়া, ফুলহাড়ি ও ডেফলাই এলাকায় সেচের অভাবে অনাবাদি হয়ে পরে থাকা শতশত একর জমি আবাদের আওতায় আসবে। কৃষকরা পাবে স্বল্প মুল্যে স্লূইস গেইটের পানি। এতে কৃষকদের অনাবাদি জমিগুলো চাষাবাদের আওতায় আসার পাশাপাশি জমিগুলোতে একাধিক ফসল উৎপাদনের সুযোগ সৃষ্টি হবে। কৃষকদের ভাগ্য উন্নয়নের পাশাপাশি কৃষি ক্ষেত্রে ঘটবে বিপ্লব
শেরপুরের এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন এখানে স্লূইস গেইট নির্মান করার জন্য জাইকা প্রকল্পের মাধ্যমে পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে। স্লূইচ গেইট নির্মান করা হলে অনাবাদি জমিগুলো চাষাবাদের আওতায় আনার পাশাপাশি প্রান বৈচিত্রের উন্নয়ন সাধিত হবে। কৃষিতে আসবে অভাবনীয় সাফল্য।