শেরপুরে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত ৫।
মোঃআমিনুল ইসলাম শেরপুর প্রতিনিধি
গতকাল বুধবার রাতে সদর উপজেলার লছমনপুর ও জেলা শহরের রঘুনাথ বাজার এলাকায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া এবং ৩টি মোটরসাইকেল ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এ সময় তারা আহত হন।
স্থানীয়রা জানান, গতকাল বুধবার রাতে কুসুমহাটি এলাকায় নৌকা প্রতীকের পথসভা চলাকালে ওই এলাকার ট্রাক মার্কার সমর্থক কয়েকজন যুবক ওই সভার সামনে দিয়ে একাধিকবার মোটরসাইকেলে মহড়া দেয়। এতে নৌকার সমর্থকেরা তাদের গতিরোধ করে চড়থাপ্পড় দেয়। এর জেরে ট্রাকের সমর্থকেরা প্রতিবাদ জানালে সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয়পক্ষের দুটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়। আহত হন অন্তত ৫ যুবক।
এর জেরে শহরের রঘুনাথ বাজার এলাকায় ট্রাক মার্কার সমর্থককে আটকে মারধর ও মোটরসাইকেল ভাংচুর করে নৌকার সমর্থকেরা।
এ ঘটনা ও সন্ত্রাসী তৎপরতার প্রতিবাদে ট্রাক মার্কার সমর্থকেরা জেলা শহরে রাতেই বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে। এতে নেতৃত্ব দেন শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক স্বতন্ত্র প্রার্থী ছানোয়ার হোসেন ছানু, শেরপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর রুমান, শেরপুর পৌরসভার মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন ও শেরপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ দলীয় নেতারা।
সভায় ছানোয়ার হোসেন ছানু বলেন, ‘আমাদের সুনিশ্চিত বিজয় জেনে আতিউর রহমান আতিকের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। এজন্য তিনি সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছেন। ২৮ ডিসেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেরপুরে ভার্চুয়ালি নৌকার ভোট চাইবেন। তাই আতিক সাহেব অভিনয় করে সেখানে উপস্থাপন করার জন্য এ শান্ত পরিস্থিতিকে অশান্ত করে তুলছেন। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ এবং দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি দাবি করছি।’
এ ব্যাপারে শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইদুর রহমান বলেন, ‘আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।’