নিজস্ব প্রতিবেদক –
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পরপরই বঙ্গবন্ধু সৌদি আরবের বাদশাহর কাছে অনুরোধ করেছিলেন যাতে আমাদের দেশের মানুষ হজে যেতে পারেন। সৌদির বাদশাহ বঙ্গবন্ধুর সেই অনুরোধ রেখে বাংলাদশের মানুষ কে হজ্বে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। অল্প খরচে হজে যাওয়ার জন্য হাজীদের জন্য একটি জাহাজের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। ৭৫ পরবর্তি জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে সেই জাহাজটিকে প্রমোদতরীতে পরিণত করে ছিলেন।তখন হজ যাত্রা হতো না। এটা খুব’ই দুঃখজনক।
আগামীকাল শনিবার (২০ মে) দিবাগত রাত পৌনে তিনটার সময় প্রথম হজ্ব ফ্লাইট বাংলাদেশ বিমানের বিজি ৩০০১ ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সৌদির উদ্দেশে রওনা হবে ।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বেসরকারী বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, সংসদ সদস্য হাবিব হাছান, ধর্ম বিষয়ক সচিব কাজী এনামুল হাসান এনডিসি, ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান, হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম প্রমুখ।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ২৭ জুন (৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সৌদি আরবের সঙ্গে হজচুক্তি অনুযায়ী, এবার বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার জন ও অবশিষ্ট এক লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করার সুযোগ পাবেন। ইতোমধ্যে হজযাত্রী নিবন্ধন শেষ হয়েছে। তবে এবারের হজের খরচ বেশি হওয়ায় কোটা পুরোপুরি পূরণ করা যায়নি।
চলতি বছরে বাংলদেশ থেকে হজ পালনে সাড়ে ৩ হাজার হজযাত্রীর কোটা খালি থাকবে, এবং সেটা সৌদি আরব ফেরত যাবে বলে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।