আন্তর্জাতিক। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ ভাষন দিলেন মধ্যপ্রাচ্যের আরব লীগের অনুষ্ঠিত শীর্ষ সম্মেলনে।
সৌদি আরবের জেদ্দায় আরব লীগের অনুষ্ঠিত শীর্ষ সম্মেলনে ভাষণ দিয়েছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। শুক্রবার ১৯ মে অঞ্চলিক সংগঠনের ৩২তম এ সম্মেলনে ভাষণ দেন তিনি। এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের সকল সংকট নিরশন হবে বলে তিনি মনে করেন এবং ইহা একটি ঐতিহাসিক সুযোগও বলে অভিহিত করেছেন তিনি।সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন,এই সম্মেলন আরবদের মধ্যে ঐক্য ও সংহতি সৃষ্টির এক নতুন যুগের সূচনা ঘটাবে। এর মধ্যদিয়ে আমাদের এই অঞ্চলে শান্তি ত্বরান্বিত হবে এবং যুদ্ধ ও ধ্বংসের পরিবর্তে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথ প্রসারিত হবে।
গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভের নৃশংস দমন ও দীর্ঘস্থায়ী গৃহযুদ্ধের কারনে যেখানে সহস্রাধীক মানুষ নিহত হয়েছে বলে মনে করা হয়, তার’ই প্রতিক্রিয়া হিসেবে ২০১১ সালে সিরিয়াকে আরব লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়। দীর্ঘ প্রায় এক যুগ পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিকে আবারও আরব লীগের সদস্যপদ ফিরিয়ে দেয়।
এরপরই দেশটির প্রেসিডেন্টকে সংগঠনের শীর্ষ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানান।সেই আমন্ত্রণকে স্বাগত জানিয়ে শুক্রবার ১৯ মে সম্মেলনে যোগ দেন তিনি। এক যুগেরও বেশি সময় পর এই আঞ্চলিক সম্মেলনে এটাই প্রথম উপস্থিতি তার । সম্মেলনে উষ্ণ অভ্যর্থনাও জানানো হয় তাকে ।
পরে আরব লীগের ২২ সদস্য দেশের প্রতিনিধিদের উদ্দেশে দেয়া ভাষণে বাশার আল আসাদ বলেন, সিরিয়া সবসময়’ই আরব বিশ্বের অন্তর্ভুক্ত। এ সময় আরব রাষ্ট্রগুলোর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার জন্য নেতাদের আহ্বান জানান তিনি। দেশের জনগণের কাছেই অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলো ছেড়ে দেয়া গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন তিনি। কারণ জনগণ তাদের নিজস্ব বিষয়গুলো পরিচালনা করতে সবচেয়ে বেশি সক্ষম।’
মধ্যপ্রাচ্যের এই সম্মেলনে বাশার আল আসাদের প্রত্যাবর্তন সম্ভব হয়েছে এই শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজক দেশ সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের হস্তক্ষেপে। মূলত চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তুরস্ক ও উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় আঘাত হানা বিধ্বংসী ভূমিকম্পের পর আরব প্রতিবেশীদের সাথে সিরিয়ার সম্পর্ক গভীর হয়।
দীর্ঘ এক যুগ পর আরব লিগে সিরিয়াকে ফেরানোর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে রাশিয়া ও চীন। অপরদিকে, এই সিদ্ধান্তকে তীব্র সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। আরব লীগের এই সময়োপযোগী সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে সিরীয়ার সাধারণ জনগনও। সিরীয়ার মানুষ মনে করছেন, অন্য সকল দেশগুলোর সাথে আবারও সিরীয়াবাসীর ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠবে।