ডিএমপির ৩৬তম কমিশনার হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)।

স্টাফ রিপোর্টারঃ মো রাজিবুল ইসলাম।

ঢাকা মেট্রো পলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন ট্যুরিস্ট পুলিশের প্রধান (অতিরিক্ত আইজিপি) হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)।
তিনি ডিএমপির ৩৬তম কমিশনার হিসাবে জয়েন্ট করেছেন।
হাবিবুর রহমান বিসিএস ১৭তম ব্যাচের পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি ডিএমপি সদর দপ্তরের ডিসি, ঢাকা জেলার এসপি, পুলিশ সদর দপ্তরে ডিআইজি (প্রশাসন) ও ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হিসাবে পদোন্নতি পেয়েছেন।
হাবিবুর রহমান ১৯৬৭ সালে গোপালগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি গত ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখ নতুন ডিএমপি কমিশনার হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন। পুলিশের সবচেয়ে শক্তিশালী ও গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট ডিএমপি। নতুন ডিএমপি কমিশনারের সময় অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনের আগে ও পরে রাজধানীর আইন শৃঙ্খলার দায়ভার থাকবে নতুন ডিএমপি কমিশনারের উপর। সবদিক বিবেচনায় এবারের কমিশনারের গুরুত্ব অনেক বেশী।
পুলিশ হিসেবে কর্মজীবনের সফলতা, গ্রহণ যোগ্যতা ও আস্থা বিবেচনায় এ পদে নিয়োগ দেয়া হয়।
তিনি পুলিশ কর্মকর্তা হিসাবে দায়ীত্ব পালনের পাশাপাশি বেঁদে সম্প্রদায় ও হিজড়া সম্প্রদায়ের মাঝে উন্নয়ন করার লক্ষে অনেক মানবিক কাজ করেছেন।
উল্লেখ্য, পেশাগত ও মানবিক কাজের বাইরে সফল ক্রীড়া সংগঠক হিসাবে বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এবং এশিয়ান কাবাডি ফেডারেশনের সহ সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন হাবিবুর রহমান। পাশাপাশি মানুষের সেবা করার জন্য গড়েছেন উত্তরণ ফাউন্ডেশন নামে একটি সেবা ধর্মী প্রতিষ্ঠান। তার একক প্রচেষ্টায় রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে টেলিকম ভবনে প্রতিষ্ঠিত হয় পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। ২০১৮ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের গৌরবান্বিত ভূমিকা তুলে ধরে ‘মুক্তিযুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ’ নামের একটি বই সম্পাদনা করেন ডিআইজি হাবিব। অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয় হাবিবুর রহমানের গবেষণাগ্রন্থ ‘ঠার: বেঁদে জনগোষ্ঠীর ভাষা’। তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে নিয়ে বই সম্পাদনা করেছেন। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রকাশিত হয় ‘নন্দিত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খান’ বইটি।
তিনি অসহায় দরিদ্র সেবাবঞ্চিত বিপদগ্রস্থ মানুষের মাঝে অনেক সেবামূলক কাজ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।