গোদাগাড়ী উপজেলাকে ব্র্যান্ড হিসেবে গড়তে পহেলা বৈশাখে প্রশাসনের উদ্যোগ।
মোঃ মুরাদ হোসেন গোদাগাড়ী প্রতিনিধি, রাজশাহী:
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে উপজেলায় একদিনব্যাপী বর্ণিল ও অর্থবহ আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। এবারের আয়োজন শুধু উৎসবমুখরতা নয়, বরং গোদাগাড়ীকে সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিকভাবে ব্র্যান্ডিং করার লক্ষ্য নিয়ে সাজানো হয়েছে পুরো কর্মসূচি।
১৪ই এপ্রিল দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালায় থাকছে বৈশাখী শোভাযাত্রা, ঐতিহ্যবাহী পান্তা আয়োজন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বৈশাখী মেলা ও স্টল, লাঠি খেলা ও হাডুডু খেলা সহ গ্রামবাংলার হারিয়ে যাওয়া খেলাধুলা। এছাড়াও পদ্মার পাড়ে ঘুড়ি উৎসব ও মৌসুমি ফল তরমুজ খাওয়ার আয়োজনও এই উৎসবকে আরও প্রাণবন্ত করে তুলবে।
পুরো আয়োজনের বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকছে উপজেলায় বসবাসরত ১৪টি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ। তাদের নিজস্ব কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও উৎপাদিত পণ্য এই মেলায় তুলে ধরা হবে। এর মাধ্যমে স্থানীয়দের মধ্যে আন্তঃসাংস্কৃতিক বন্ধন যেমন সুদৃঢ় হবে, তেমনি বাইরের মানুষও গোদাগাড়ীর বৈচিত্র্যময়তা সম্পর্কে জানতে পারবে।
এছাড়াও দেশজ পণ্য, লোকাল পণ্যের ব্র্যান্ডিং এর মাধ্যমে মার্কেট ভ্যালু তৈরী করা এবং স্থানীয় সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন জানান, এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য শুধু বিনোদন নয়, বরং স্থানীয় উৎপাদিত দেশজ পণ্য ও লোকাল উদ্যোক্তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করা, যাতে বাজারে এসব পণ্যের সঠিক মূল্য ও পরিচিতি তৈরি হয়। এতে স্থানীয় সক্ষমতা যেমন বাড়বে, তেমনি উদীয়মান উদ্যোক্তারা উৎসাহিত হবেন।
পুরো আয়োজন শেষে যে স্টল ও প্রদর্শনী ভালো করবে, তাদের পুরস্কার দেওয়া হবে। দিনটি শেষ হবে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার মধ্য দিয়ে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল আহমেদ বলেন, “আমরা চাই গোদাগাড়ী শুধু সীমান্তবর্তী একটি উপজেলা নয়, বরং দেশের মধ্যে একটি সম্ভাবনাময় ব্র্যান্ড হিসেবে গড়ে উঠুক—যেখানে সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং অর্থনৈতিক সম্ভাবনার সমন্বয় ঘটবে।”
এই আয়োজন গোদাগাড়ীবাসীর মধ্যে ব্যাপক উৎসাহের সৃষ্টি করেছে। অনেকেই বলছেন, প্রশাসনের এমন সময়োপযোগী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উদ্যোগ গোদাগাড়ীকে এক নতুন সম্ভাবনার দ্বারপ্রান্তে দাঁড় করাবে।