ভোলায় শহীদ শাকিলের পরিবারের উপর হামলা- প্রতিবেদকে হুমকি
জেলা প্রতিনিধি- ভোলা:
ভোলা সদর উপজেলার ১০ নং ভেলুমিয়া ইউনিয়ন ৩ নং ওয়ার্ড নয়াচর হালোট রোড সংলগ্ন ফরিদ মাঝি বাড়ির উচু ব্রীজের সামনে গত ৬ এপ্রিল ২০২৫ (রবিবার) রাত ১০ ঘটিকার সময় স্থানীয় প্রভাবশালী বখাাটে ফখরুল ও চান্দুর নেতৃত্বে ২৪এর গণঅভ্যুত্থানে ভোলা বীর সন্তান শহীদ- জুলফিকার আহমেদ শাকিল এর ছোট ভাই সুমন মৃধাকে এলোপাতাড়ি মারধর করার অভিযোগ উঠেছে চান্দু, ফখরুল, সজীবসহ অন্তত ১০ জনের বিরুদ্ধে।
এ ব্যাপারে অদ্য ৭ এপ্রিল (সোমবার) বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে ভেলুমিয়া পুলিশ ফাঁড়ি তদন্ত কেন্দ্রে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন জুলফিকার আহমেদ শাকিল এর ছোট ভাই সুমন মৃধা।
সুমন মৃধা বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় আমার খালাতো ভাই শাহীনের গায়ে হলুদ ছিল সেখানে আমার মা খালাতো বোনসহ পরিবারের সকল আত্মীয় স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন। বিয়ের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান চলাকালীন সময় আমার খালাতো বোন রাজিয়াকে রাস্তার উপর থেকে বহিরাগত স্থানীয় কিছু বখাটে পোলাপান ইশারার মাধ্যমে বাজে অঙ্গভঙ্গি করে আসছিল।
বিষয়টি আমার নজরে আসলে আমি আমার বোনকে বাসায় বিতরে ডেকে নিয়ে আসি এবং তারা ক্ষিপ্ত হয়ে অনুষ্ঠানের বিতর থেকে আমার কলার ধরে টেনেহিঁচড়ে রাস্তায় নিয়ে যায়। একপর্যায়ে আমার হাত থেকে ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার অনেক চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় চান্দু, ফখরুল ও সজীব। পড়ে চান্দুর নেতৃত্বে ৮ থেকে ১০জন আমাকে এলোপাথারী মারধর করেন।
আমি ডাকচিৎকার দিলে লোকজন এসে ঝড়ো হলে তারা চলে যান এবং আমাকে মারার জন্য আবারও লোকজন নিয়ে জড়ো হন।
আমরা যাতে এ ব্যাপারে কাউকে কিছু না বলি এবং পুলিশের কাছে যেনো কোন অভিযোগ না দেই সে কারণে প্রভাশালী বখাটে রাকিব ও তার ছোট ভাই চান্দু বাহিনী আমার পরিবারকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে। বর্তমানে আমরা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। আমি এ ঘটনার উপযুক্ত বিচার চেয়ে ভেলুমিয়া পুলিশ ফাঁড়ি তদন্ত কেন্দ্রে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত বখাটের বাবা জাহাঙ্গীর বেপারী সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি মারধরের ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, সুমন মৃধার সঙ্গে আমার ছেলের শুধু হাতাহাতি হয়েছে। এরপর জাহাঙ্গীর বেপরীর তার বড় ছেলে ভোলা জর্জকোর্ট এর চাকুরী জিবি রাকিবকে দিয়ে সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য মুঠোফোনে প্রতিবেদকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে।
লিখিত অভিযোগের বিষয় ভেলুমিয়া পুলিশ ফাঁড়ি তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বরত ইনচার্জ এসআই মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, অভিযোগ পাওয়ার পড় তদন্ত প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।