বুড়িগঙ্গায় ওয়াটার বাসডুবি ৩ মরদেহ উদ্ধার
নয়া কণ্ঠ অনলাইন ডেস্ক
ঢাকার কেরানীগঞ্জের তৈলঘাটে বাল্কহেডের ধাক্কায় ওয়াটার বাসডুবির ঘটনায় উদ্ধার কাজে যোগ দিতে নারায়ণগঞ্জ বেইজ থেকে রওনা হয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) উদ্ধারকারী জাহাজ ‘রুস্তম’। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৩ জনের মরদেহ ও পাঁচ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার (১৬ জুলাই) দিনগত রাত ১টার দিকে বিআইডব্লিউটিএ’র পরিচালক আরিফ হাসনাতের এক ফেসবুক পোস্ট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফাসহ বিআইডব্লিউটিএ ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উদ্ধার কাজ তদারকি করছেন।
এছাড়াও নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও নৌপরিবহন সচিব গোলাম মোস্তফা সার্বক্ষণিকভাবে উদ্ধার কাজের খোঁজখবর নিচ্ছেন বলেও ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেছেন আরিফ হাসনাত।
এর আগে রাত সাড়ে ৮টার দিকে সদরঘাট শ্যামবাজার থেকে কেরানীগঞ্জের তৈলঘাটে যাওয়ার পথে বুড়িগঙ্গা নদীর অংশে বালুবোঝাই একটি বাল্কহেডের ধাক্কায় ৪০ থেকে ৫০ জন যাত্রী নিয়ে ডুবে যায় ওয়াটার বাসটি।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট, কোস্টগার্ড, বিআইডব্লিউটিএসহ বেশ কয়েকটি সংস্থা উদ্ধার কাজে যোগ দেয়। সবশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তিন জনের মরদেহ ও পাঁচজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার ফারুক রাসেল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মৃতদের মধ্যে একজন শিশু ও দুইজন পুরুষ রয়েছে।
এদিকে, ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে প্রত্যেক নিহতের পরিবারকে ২৫ হাজার ও জীবিতদের পরিবারকে ১৫ হাজার টাকা করে অনুদানের ঘোষণা দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
এ ঘটনায় এখনও অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ওয়াটার বাসটি উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলমান থাকবে বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস।