এক পরিবারের তিনজন প্রতিবন্ধী। এর মধ্যে স্কুলছাত্রী রত্না ছিল স্বাভাবিক। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্মমভাবে রত্নাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে প্রতিবেশী দম্পতি। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাতে রত্না মারা যায়। এ ঘটনায় রত্নার সহপাঠীরা শনিবার দুপুরে সাভারের কাউন্দিয়া শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে ঘাতকদের শাস্তি দাবি করে।
নিহত শিক্ষার্থী আমেনা আক্তার রত্না (১২) সাভারের কাউন্দিয়া ইউনিয়নের বুড়িরটেক দক্ষিণ কাউন্দিয়া এলাকার প্রতিবন্ধী রতন মোল্লার মেয়ে। সে কাউন্দিয়া শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল।
অভিযুক্ত জালাল (৩৫) ও লাইলি (৩০) স্বামী-স্ত্রী। তারা একই এলাকায় বসবাস করে স্থানীয় একটি মুদি দোকান ব্যবসা করেন।
স্থানীয় ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক দিন আগে রত্না তার বাড়ির পাশে একটি দোকানে যায়। এ সময় দোকানদার জালাল ও তার স্ত্রী লাইলি পরকীয়া সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বাগবিতণ্ডা করে। এ সময় রত্না পাশে দাঁড়িয়ে তাদের কথোপকথন শোনে। এ সময় তাদের উচ্চ আওয়াজে স্থানীয় বেশকিছু লোকও জোড় হন। পরে তারা দোকান বন্ধ করে চলে যান। এর কিছুক্ষণ পর পরকীয়ার ঘটনা এলাকায় চাউর হয়।
এ ঘটনায় দম্পতি ক্ষিপ্ত হয়ে ১৭ আগস্ট রত্নার বাড়ি এসে তাকে চুলের মুঠি ধরে টেনেহিঁচড়ে বাড়ির সামনে এনে বেধড়ক মারধর করে। রত্নার ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোক জড়ো হলে জালাল ও লাইলি ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
পরে তাকে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি করে। টানা তিন দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে শুক্রবার রাতে রত্না না ফেরার দেশে চলে যায়।
কাউন্দিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সুব্রত কুমার জানান, স্কুলছাত্রী রত্নার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।