নেই ট্রাফিক সিগনাল,নেই কোনো জেব্রা ক্রসিং,ফুটওভার ব্রিজের অভাবে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার
মোঃ লিটন হোসেন লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি :
সময়ের সঙ্গে-সঙ্গে বদলে যাচ্ছে লক্ষ্মীপুর জেলা শহরের দৃশ্যপট। উন্নয়ন ও প্রসারতায় এটি এখন দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও সম্ভাবনাময় শহরে পরিণত হয়েছে। তবে আধুনিকায়নের এ গতির সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না অনেক মৌলিক অবকাঠামো। তারই একটি বড় উদাহরণ—ফুটওভার ব্রিজের অভাব।
বিশেষ করে শহরের ব্যস্ততম এলাকা উত্তর তেমুহনি, দক্ষিণ তেমুহনি এবং ঝুমুর মোড়—এই তিনটি পয়েন্টে প্রতিদিন হাজারো মানুষকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হতে হচ্ছে। এখানে নেই কোনো জেব্রা ক্রসিং, নেই ট্রাফিক সিগনাল, আর ফুটওভার ব্রিজ তো দূরের কথা।
স্থানীয়রা জানান, “এখানে সকাল-বিকেল স্কুল ও অফিসগামী মানুষের ঢল নামে। অনেক সময় বাচ্চা, বৃদ্ধ বা নারী পথচারীরা গাড়ির গতি বুঝে উঠতে পারেন না, হুট করেই ঘটে যায় দুর্ঘটনা।” বর্তমানে এ ছোট্ট শহরটিতে বেড়েছে অটোরিকশা ও ইজিবাইকের দাপট। যা আরো ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে জনসাধারণের হাঁটাচলায়।
লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের ছাত্রী মাহিনুর আক্তার বলেন, “প্রতিদিন কলেজে আসার পথে একাধিকবার জীবন নিয়ে টানাটানি হয়। একটু অসাবধান হলেই বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কেউ এ নিয়ে ভাবছে বলে মনে হয় না।”
ট্রাফিক পুলিশের এক সদস্য বলেন, “আমরা সকাল ও বিকেলে সিগন্যাল দিয়ে সহায়তা করার চেষ্টা করি, কিন্তু এত মানুষের ভিড়ে সেটা পর্যাপ্ত নয়। স্থায়ী সমাধান হিসেবে ফুটওভার ব্রিজ ছাড়া বিকল্প নেই।”
জনসংখ্যা ও যানবাহনের চাপ বাড়লেও উন্নয়ন স্থবির। বর্তমানে লক্ষ্মীপুর শহরের জনসংখ্যা দেড় লাখেরও বেশি। প্রতিদিন শহরে প্রবেশ করছে প্রায় ১৫০০-২০০০ যানবাহন, যার মধ্যে রয়েছে বাস, ট্রাক, সিএনজি, অটোরিকশা ও প্রাইভেটকার। কিন্তু পথচারীদের নিরাপদ চলাচলের জন্য নেই কার্যকর ব্যবস্থা।
‘নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)’ লক্ষ্মীপুর শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সেলিম উদ্দিন নিজামী বলেন, “আমরা বহুবার জেলা প্রশাসন ও পৌরসভাকে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়েছি। কিন্তু প্রতিশ্রুতি ছাড়া কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি।”
লক্ষ্মীপুর পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ ফারাভী বলেন, “ফুটওভার ব্রিজের প্রয়োজনীয়তা আমরা বুঝি। কিন্তু ফোর লেন না হলে এটি সম্ভব নয়।