সিংগাইরে এলজিইডি’র ৬ কোটি টাকার রাস্তার কাজে নয়ছয় !
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি:
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার চান্দহর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডে আয়নাল সরদারের বাড়ি হতে পুণ্য মন্ডলের বাড়ি পর্যন্ত কোটি টাকার ঝুঁকিপূর্ণ গ্রামীণ রাস্তার কাজ করতে গিয়ে প্রায় ২৫ ট্রাক নিম্নমানের ইট দিয়ে, ইট সোলিংয়ের কাজ অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, ৬০০ মিটার এসবিবিপির’ কাজ ও ব্রিজ ৮১ মিটার দৈর্ঘ্য ও প্রস্ত ৭.৩ মিটার রাস্তাসহ ৫ কেটি ৮৮লাখ টাকার। সংশোধিত চুক্তিমূল্য ৬কোটি ১২লাখ ১১হাজার ১৭০টাকা। দরপএ দেওয়া হয় মেসার্স নির্মাণ পোকৌশলী, সত্ত্বাধিকারী ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান প্রোঃ সাঈদ খান কে। এ কাজে ০৫ ০৪/২০২০ ইং থেকে শুরু হওয়ার কথা এবং শেষ হওয়ার কথা ছিল ১১/০৯/২১ই তারিখ পর্যন্ত। এ কাজ দ্বিতীয় বার বর্ধিত সময় নেওয়া হয়েছে ২৯/০৪/২৪ইং তারিখ পর্যন্ত এবং তৃতীয় বারের সময় নিয়ে কাল বিলম্বনা করছে।
এলাকাবাসী বলেন, এলজিইডির কোটি টাকার অধিক প্রকল্পের ব্রিজ নিচু হয়েছে এতে বর্ষা মৌসুমে নৌকা চলাচলে সমস্যা হবে তাছাড়া রাস্তায় ইট সোলিং এর কাজে প্রায় ২৫ ট্রাক নিম্নমানের ইট বিছিয়ে, রোলার মেশিনের ডলন না দেওয়া ছাড়া,পানি দেওয়া ছাড়া ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ করছেন। তারা আরও বলেন, প্রায় ২৫ ট্রাক নিম্নমানের ইট, বালু মাটির নিচ থেকে না সরালে, পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি না দিলে, রোলার মেশিনের ডলন না দিলে কয়েক মাস পরেই কোটি টাকার অধিক প্রকল্পের ইট সোলিং এর রাস্তাটি মাটির সাথে মিশে গিয়ে,সরকারের কোটি টাকা ধূলোর সাথে মিশে যাবে। এলাকার সাধারণ মানুষ বলেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সাথে সন্ত্রাসী টাইপের কিছু লোক থাকায় ভয়ে মুখ খুলতে এবং নয় ছয় রাস্তার কাজ বন্ধ করতে পারছেন না। তবে প্রশাসন যদি সঠিক তদন্ত করে প্রায় ২৫ ট্রাক নিম্নমানের ইট অপসারণ করে, নাম্বারিং ইট বিছিয়ে রোলার মেশিনের ডলন, পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি দিয়ে রাস্তার কাজ করেন, তাহলে জনসাধারণ নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে পারবে, সেই সাথে সরকারের কোটি টাকা অপচয়ের হাত থেকে রক্ষা পাবে।
এবিষয়ে ঠিকাদার সাঈদকে বারবার মুঠোফোন ফোন দেওয়া হলেও, তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
সিংগাইর উপজেলা পৌকৌশলী আশরাফুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন , এভাবে কাজ করার সুযোগ নেই। মানিকগঞ্জ জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী এবিএম খোরশেদ আলম, “দৈনিক নয়া কন্ঠ “কে বলেন, আমি উপজেলা পোকৌশলীর সাথে কথা বলে ঘটনাস্থলে একটা টিম পাঠানোর ব্যবস্হা করবো কালকেই।