রাজশাহীর মোহনপুরে চোরের উপদ্রুব অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। পুলিশ তৎপরতা চালিয়েও তাদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করা যাচ্ছে না।সাধারণ মানুষ আন্ত: জেলা চোরের কাছে জিম্মী হয়ে পড়েছে। মোহনপুর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে সংঘবদ্ধ চোক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। অভিযানে উদ্ধার হয়েছে চুরি হওয়া ৩ টি অটোরিক্সা। গত ৫ সেপ্টেম্বর লালমনিরহাটে অভিযান পরিচালনা করে ২টি অটোরিক্সা উদ্ধার করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- গোলজার হোসেন (৪৩), আবু হায়াত সুরজ (৪২), আবুল কালাম (৩৪), উজ্জল মিয়া (২৬) এবং আলমগীর সিদ্দিক সানি (৩৭)। গোলজার হোসেন রংপুর জেলার পীরগাছা থানার কুতুব্বাস গ্রামের মো: গিয়াস উদ্দিনের পুত্র, আবু হায়াত সুরজ বগুড়া জেলার সদর থানার বারুপুর গ্রামের মৃত আনোয়ারুল ইসলাম এর পুত্র, মো: আবুল কালাম লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা থানার পূর্ব নওদাবাস গ্রামের আজিজুর রহমানের পুত্র, উজ্জল মিয়া ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট থানার গামারীতলা গ্রামের আব্দুল আজিজের পুত্র এবং আলমগীর সিদ্দিক সানি লালমনিরহাট জেলার সদর থানার ষ্টোর পাড়া গ্রামের বিল্লাল উদ্দিনের পুত্র।
জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল আলম জানান, অটোরিক্সা চুরির ঘটনায় রাজশাহীর বাগমারার সোহেল রানা মোহনপুর থানায় গত ২৪ আগস্ট একটি চুরির মামলা দায়ের করেন। এরই প্রেক্ষিতে রাজশাহীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপ্স) সনাতন চক্রবর্তী এর নির্দেশনায় এবং মোহনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ, হরিদাস মন্ডলের নেতৃত্বে একটি পুলিশ দল বগুড়া, লালমনিরহাট ও ঢাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এ অভিযানে গত ৩০ আগস্ট আটককৃত আসামি আলমগীর সিদ্দিক সানি ও উজ্জল মিয়াকে বগুড়া জেলার বারুপুর নামক স্থান হতে একটি চোরাই অটো এবং বাদীর চুরি যাওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার করে পুলিশ। এজাহারনামীয় আসামি গোরজারকে গত ৩১ আগস্ট ঢাকা জেলার সাভার থানার হেমায়েতপুর নামক স্থান হতে গ্রেফতার করা হয়। তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামি আলমগীর সিদ্দিক সানি ও উজ্জল মিয়া চুরি যাওয়া অটোরিক্সা লালমনিরহাটে বিক্রি করেছে বলে স্বীকার করে। এরপর পুলিশ গত ৫ সেপ্টেম্বর অভিযান চালিয়ে করে লালমনিরহাট থেকে ২টি অটোরিক্সা উদ্ধার করে।