নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে রাজবাড়ির চন্দনী ইউনিয়নের দুই ইউপি সদস্যকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করার জন্য ইউএনও ও জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে চেয়ারম্যান সহ ইউপি সদস্যরা।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, চন্দনী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের পর পরই ০৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ রজব আলী এবং ৭,৮,৯ নং ওয়াডের সংরক্ষিত ইউপি সদস্য মোছাঃ নাগিস আক্তার পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পরে এবং তারা নিজশ্ব যোগসাজশে চন্দনী ইউনিয়নের ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের অসহায় গরিব বিভিন্ন পরিবারের নিকট হতে বিভিন্ন সরকারি সাহায্য যেমন, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, ভিজিপি কার্ড এবং সরকারি ঘর প্রদানের কথা বলে জনসাধারণের নিকট থেকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অংকের টাকা গ্রহন করেন। এই ২জন মেম্বারের বিরুদ্ধে ভোক্তভোগীরা এ সম্পর্কিত প্রায় ইতিমধ্যেই ৪০টির মত অভিযোগ উপজেলা নিবাহী অফিসার বরাবর দাখিল করে।
তবে অভিযোগের বিষয়ে নার্গিস মেম্বারের সাথে বারবার মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলেও, তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। কিন্তু কথা বলেছেন নার্গিস মেম্বার স্বামী রজব আলি মেম্বার, তিনি অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি যতদুর জানি মানুষের কাছে থেকে যতটাকা নেওয়া হয়েছিলো, সব টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে।
আর ইউপি সদস্যরা বলছেন, তাদের এই অনৈতিক ও অপকর্ম মুলক কাজের জন্য তারা ইউনিয়ন পরিষদে আসতে পারেনা। বিভিন্ন মানুষ উল্টোপাল্টা কানাঘুষা করছে ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে,যা যথারীতি সম্মান হানিকর।
চন্দনী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুর রব,জানান, নার্গিস ও রজব আলি মেম্বারকে এ ব্যাপারে চন্দনী ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে বার বার সতর্ক করে দিলেও তারা কর্নপাত না করে তাদের অনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের কোন অপকর্মের দায় ভার চন্দনী ইউনিয়ন পরিষদ বহন করতে পারে না।
এবিষয়ে স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক
আসাদুজ্জামান রিপন জানান,এ রকম বেশকিছু অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছে। আমরা বিষয়টি তদন্তের জন্য পাঠিয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষ অভিযোগ প্রমানিত হলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।