নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও
নাটোর-৪ (গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম) আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য, সাবেক প্রতিমন্ত্রী
❝বীরমুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মোঃ আব্দুল কুদ্দুস❞ ইন্তেকাল করেছেন।
“ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন”
জন্ম ও প্রাথমিক জীবনঃ আব্দুল কুদ্দুস ৩১ অক্টোবর ১৯৪৬ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের নাটোরের গুরুদাসপুরের খুবজীপুর ইউনিয়নের চলনবিল অধ্যুষিত বিলসা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম হায়াতুল্লাহ সরদার। বিবাহিত জীবনে তার ১ ছেলে আসিফ আবদুল্লাহ বিন কুদ্দুস নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের নেতা ও ১ মেয়ে কোহেলী কুদ্দুস মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি।
তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকত্তোর ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
রাজনৈতিক জীবনঃ আব্দুল কুদ্দুস রাজশাহী কলেজের নির্বাচিত ভিপি ছিলেন এবং বৃহত্তর রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি ২ মেয়াদে আমৃত্যু নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
সপ্তম জাতীয় সংসদে তিনি শেখ হাসিনার প্রথম মন্ত্রীসভায় মৎস্য ও পশু সম্পদ প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়ীত্ব পালন করেন।
তিনি ১৯৯১ সালের পঞ্চম, ১২ জুন ১৯৯৬ সালের সপ্তম, ২০০৮ সালের নবম, ২০১৪ সালের দশম ও ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নাটোর-৪ আসন থেকে মোট পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
একাদশ জাতীয় সংসদে তিনি শিক্ষা মন্ত্রণলায় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন।
১৯৮৬ সালের তৃতীয় ও ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নাটোর-৪ আসন থেকে নির্বাচনে লড়ে তিনি পরাজিত হয়েছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকাঃ মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পূর্বে রাজশাহীতে তিনিই প্রথম পাকিস্তানের পতাকায় অগ্নিসংযোগ করেন। পরবর্তীতে ভারতে ট্রেনিং নিয়ে মুজিব বাহিনীর আঞ্চলিক কমান্ডার ও সংগঠকের ভূমিকা পালন করেন।
মৃত্যুঃ আব্দুল কুদ্দুস ৩০ আগস্ট ২০২৩ বুধবার সকাল ৭টা ২২ মিনিটে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
তার মৃত্যুতে “ফ্রেন্ডস অফ বাংলাদেশ, জেদ্দা মহানগর আওয়ামী লীগ, সৌদি আরব” গভীরভাবে শোকাহত।
মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সকলের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।