সিনিয়র শিক্ষক, উত্তরা হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ
উত্তরা, ঢাকা
গণতান্ত্রিক মনোভাব
প্রশ্ন : বিদ্যালয়ে এমন দুটি কাজের কথা উল্লেখ কর যেখানে গণতান্ত্রিক চর্চার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
উত্তর : আমরা প্রতিদিন বিভিন্ন রকম কাজ করি। এসব কাজ করতে আমাদের অনেক সময় নানা রকম সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এসব সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় গণতান্ত্রিক মনোভাব দেখানো উচিত। গণতান্ত্রিক চর্চার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে হয় বিদ্যালয়ের এমন দুটি কাজ নিম্নরূপ-
* দলনেতা বা শ্রেণিনেতা বা ক্যাপ্টেন নির্বাচনের ক্ষেত্রে
* শ্রেণিকক্ষ সাজানোর ব্যাপারে
প্রশ্ন : বাড়িতে এমন দুটি কাজের কথা উল্লেখ কর যেখানে গণতান্ত্রিক চর্চার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
উত্তর : বাড়িতে আমাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে একে অপরের মতামত শোনা প্রয়োজন। বাড়িতে গণতান্ত্রিক চর্চার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় এমন দুটি কাজের কথা নিচে উল্লেখ করা হলো-
* আমরা বাড়িতে যে খাবারটি খেতে চাই।
* উৎসব অনুষ্ঠানে যা করব বা যেভাবে আমরা ঘর সাজাব
প্রশ্ন : বিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের চারটি ধাপ উল্লেখ কর।
উত্তর : বিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক বিদ্ধান্ত গ্রহণের চারটি ধাপ নিচে দেওয়া হলো-
* প্রথমে শিক্ষার্থীদের মতামত নেওয়া
* তারপর অভিভাবকদের মতামত নেওয়া
* তৃতীয় ধাপে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মতামত নেওয়া
* চতুর্থ ধাপে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি সবগুলো মতামত মূল্যায়ন করে সঠিক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে।
সুতরাং, বিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের চারটি ধাপ হলো-
শিক্ষার্থী → অভিভাবক → শিক্ষক → ম্যানেজিং কমিটি
প্রশ্ন : মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্রের বিজয় কীভাবে অর্জিত হয়েছিল?
উত্তর : গণতন্ত্রের অর্থ জনগণের শাসন। অধিকাংশের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা এবং সম্মান করাকে বলে গণতান্ত্রিক মনোভাব। আর ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের সর্বস্তরের আপামর জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা। আসলে মুক্তিযুদ্ধ আর গণতন্ত্র যেভাবে একসূত্রে গাঁথা হয়েছিল তা নিচে দেওয়া হলো-
* পুরুষেরা সরাসরি সম্মুখযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন।
* অনেকেই গোপনে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করেছেন।
* অনেক নারী প্রশিক্ষণ নিয়ে সম্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন।
* খাদ্য আশ্রয় এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস দিয়ে তারা মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধ করতে প্রেরণা জুগিয়েছেন।
* এ দেশের সব শ্রেণি-পেশার সদস্যরা যুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ্রগ্রহণ করেছে।
* একাধিক সদস্য নিয়ে গঠিত মুজিবনগর সরকারের পরামর্শ ও নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধে আমরা বিজয়ী হই।
সুতরাং, সমগ্র বাংলাদেশের জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবার মতামত ও অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্রের বিজয় অর্জিত হয়েছিল।
প্রশ্ন : কর্মক্ষেত্রে কীভাবে গণতন্ত্রের চর্চা করা যায়?
উত্তর : গণতন্ত্রের অর্থ জনগণের শাসন। আমরা প্রতিদিন বিভিন্ন রকম কাজ করি। এসব কাজ করতে আমাদের অনেক সময় নানারকম সিদ্ধান্ত নিতে হয়। অধিকাংশের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা এবং সম্মান করাকে বলে গণতান্ত্রিক মনোভাব। বাড়িতে, বিদ্যালয়ে, কর্মক্ষেত্রে সর্বত্রই গণতন্ত্রের চর্চা করা যায়। নিচে কর্মক্ষেত্রে যেভাবে গণতন্ত্রের চর্চাকরা যায়। যেমন-
* কর্মক্ষেত্রে সর্বস্তরের সহকর্মীদের মূল্যায়ন করতে হবে।
* সর্বস্তরের সহকর্মীদের সঙ্গে যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা উচিত।
* ফলে সবাই গণতন্ত্রের গুরুত্ব বুঝতে পারবে ও নিজেদের মত প্রকাশে উৎসাহিত হবে।
* সবার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের সেবা আরও ভালোভাবে সবার কাছে পৌঁছে দিতে পারবে।
সুতরাং, কর্মক্ষেত্রে প্রতিটি কাজেই সবার মতামতের মূল্যায়নের মাধ্যমে গণতন্ত্রের চর্চা করা যায়।