প্রধান শিক্ষক নুরুল আমীন রতনের প্রত্যাহার দাবীতে ভিক্ষোভ মিছিল
(শরীয়তপুর প্রতিনিধি)
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার অন্যতম প্রাচীনতম বিদ্যাপিঠ বিঝারী উপসী তারা প্রসন্ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল আমীন রতনের প্রত্যাহার দাবী করেছেন অভিভাবক ও স্থানীয়রা।
শনিবার (১৮ মে) সকালে বিদ্যালয়টির সামনে উপস্থিত হয়ে এক বিক্ষোভ মিছিল শেষে এ দাবী জানায় তারা।
স্থানীয় ও বিক্ষোভকারীরা জানায়, ১৮৯৮ সালের ১ নভেম্বর বিঝারী উপসী তারা প্রসন্ন উচ্চ বিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। শুরু থেকেই প্রতিষ্ঠানটি সুনামের সাথে পরিচালনা হয়ে আসছে। ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন নুরুল আমীন রতন। এরপর থেকে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা মান খারাপ হওয়া শুরু করে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এক সময় প্রতিষ্ঠানটিতে অনেক শিক্ষার্থী সংখ্যা থাকলেও পড়াশোনার মান খারাপ হওয়ায় দিন দিন শিক্ষার্থী সংখ্যা কমতে থাকে বলে জানায় তারা।
বিক্ষোভে অংশ নেয়া এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক আব্দুল মান্নান কাজী অভিযোগ করে বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল আমীন রতন একজন
জেল খাটা আসামী। একটি ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসামী এটা আমি অভিভাবক হিসেবে মেনে নিতে পারিনা। তাছাড়া ওনি এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিয়ের অনুষ্ঠানে আয়োজন করেছেন। সবমিলিয়ে আমি মনে করি এমন একজন লোক প্রধান শিক্ষক হিসেবে থাকার উপযুক্ত না। আমরা তার অপসারণের দাবী জানাই।
গিয়াস হাওলাদার নামের আরেক অভিভাবক বলেন, একটা সময় এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অনেক ভালো ফলাফল করেছে। রতন স্যার দায়িত্বে আসার পর থেকে ফলাফল খারাপ হওয়া শুরু করেছে। আমি মনে করি এটা তার ব্যর্থতা। তিনি যতোদিন এখানে থাকবেন প্রতিষ্ঠানটির অবনতি হবে বলে আমি মনে করি।
এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুর ছাত্তার বলেন, আমাদের স্কুলটি সুনামের সাথে পরিচালনা হয়ে আসছে। আর বিদ্যালয়ে বিয়ের আয়োজনের বিষয়টি ছিলো মামুলি অনুষ্ঠান। বিদ্যালয়ে দুজন স্টাফের বিয়ে হয়েছিলো তাও অভিভাবকদের অনুমতি সাপেক্ষে।
জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি রতন হালদার বলেন, বর্তমানে প্রধান শিক্ষক একটি মামলায় কারাগারে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এই ব্যাপারে তিনি ভালো বলতে পারবেন। তবে স্কুলের ব্যাপারে তার দায়িত্বহীনতার অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থাপনা কমিটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব।