আব্বাস আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে সাবেক শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে ইফতার ও মিলন মেলা
শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ
সাবেক শিক্ষার্থীদের নিয়ে আব্বাস আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ প্রাঙ্গণে ইফতার করা হয়।
শরীয়তপুর জেলার সখিপুর থানার উত্তর তারাবুনিয়া ইউনিয়নে অবস্থিত আব্বাস আলী উচ্চ বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের নিয়ে ব্যাচভিত্তিক ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) বিদ্যালয়টির মাঠ প্রাঙ্গণে চতুর্থ বারের মতো এই ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে ১৯৮৮ থেকে ২০২৩ সালের সাবেক শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। সবার অংশগ্রহণে দিনটি একটি মিলন মেলায় পরিণত হয়। এবারের ইফতার মাহফিলের আয়োজক ছিলেন ২০০৮ ব্যাচ।
ইফতারের পর জমে আড্ডা। নানা ব্যস্ততা আর যান্ত্রিকতার ভিড়েও দীর্ঘদিন পর সব বড় ভাই, ছোট ভাই ও বন্ধুরা একসঙ্গে মিলিত হয়ে অতীতের অনেক স্মৃতি স্বরণ করে নেয়। স্কুল জীবনের ইতি ঘটলেও সবাই যেন এক পরিবারের সদস্য, সে প্রত্যয় নিয়ে আগামী দিনের উজ্জ্বল ভবিষ্যত গড়তে কাজ করে যাচ্ছে। সবার প্রাণবন্ত আড্ডা আর স্মৃতিচারণে মুখরিত হয়ে ওঠে অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণ।
এ বিষয়ে অনুষ্ঠানটির আয়োজকদের একজন ২০০৮ ব্যাচের ডাঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এ ধরনের আয়োজনের কারণে সাবেক শিক্ষার্থীদের মধ্যে বন্ধন দৃঢ় হয়। আমরা প্রাণ খুলে কথা বলতে পারি। এ মিলন মেলা যেন সারা বছরের একঘেয়েমি ঘুচিয়ে দিয়ে আমাদের নতুন উদ্দীপনা নিয়ে পথ চলতে উজ্জীবিত করে। আগামীতে এ ধরনের উদ্যোগ চলমান থাকবে বলে আমাদের সবার প্রত্যাশা।
১৯৯৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী মনির খান বলেন, ১৯৮৩ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। ৪০ বছরের পুরোনো এই বিদ্যালয় থেকে বহু শিক্ষার্থী পাস করে বেরিয়েছেন। তারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন। বিদ্যালয়ের প্রতি ভালোবাসা থেকেই সাবেক শিক্ষার্থীদের এই মিলন মেলার আয়োজন। ভবিষ্যতে এমন আয়োজন অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করি।
মিলন মেলায় এসে ভালো লাগার কথা জানান অনেকেই। এ সময় কথা হয় ২০১২ ব্যাচের শিক্ষার্থী মোঃ রাজীব বেপারীর সঙ্গে।
তিনি বলেন, আজকের দিনটি আমাদের জন্য অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। অনেক দিন পর সাবেক শিক্ষার্থীদের মিলন মেলায় এবং সবাইকে কাছে পেয়ে পার্থিব জগৎটাকে ভুলে গেছি। আশাকরি এই মিলন মেলা অব্যাহত থাকবে।
১৯৮৯ সালের এসএসসির শিক্ষার্থী মোঃ হোসেন সরকার। তিনি জানান তার অনুভূতির কথা। তিনি বলেন, পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে কত দিন একসঙ্গে আড্ডা হয় না। আজকে মনে হচ্ছে, আবার পুরোনো দিনে ফিরে গেছি।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন ২০০৮ ব্যাচের মোঃ ইমরান সরকার ও সাকিলুর রহমান কিরন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা বক্তব্য দেন।
এছাড়া ইফতার ও আলোচনা সভায় বিদ্যালয়টির বর্তমান ও সাবেক শিক্ষকবৃন্দ, রাজনৈতিক ও এলাকার বরেণ্য ব্যক্তিবর্গসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।