রাজশাহীর সংরক্ষিত মহিলা আসনের এম,পি হিসেবে আওয়ামীলীগের আস্থায় মর্জিনা পারভিন ।
___________রাজশাহী ব্যুরো
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হয়েছে । ইতোমধ্যে মন্ত্রী পরিষদ গঠনের কাজ শেষ । এখন শুধু দেখার অপেক্ষায় সংরক্ষিত নারী আসনের এম,পি, মনোনয়ন । আর এই মনোনয়নকে ঘিরে চলছে ব্যাপক তদবির । রাজশাহীতে এই পদে ৮/ ১০ জনের নামের তালিকা থাকলেও সবার উপরে একজনের নাম ।সে আর কেউ না, সে হলো উত্তরবঙ্গের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নারী নেত্রী রাজশাহীবাসীর প্রাণপ্রিয় জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী মর্জিনা পারভিন । রাজপথের সাহসী যোদ্ধা তৃণমূল থেকে তিলে তিলে গড়ে উঠা আদর্শের অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত এই নারীনেত্রী । পারিবারিকভাবে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত । ১৯৯৫ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত রাজশাহী জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, ও ২০০৫ থেকে অদ্যাবধি ২০২৪ সাল পর্যন্ত সভাপতি পদে দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন ।
২০০৮ এর নির্বাচনে রাজশাহী থেকে সংরক্ষিত আসনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তাকে এম,পি হিসেবে মনোনয়ন প্রদান করেছিলেন । যা তৎকালীন দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল । কিন্তু অজ্ঞাত কারণে সে সময় দ্বিতীয় বারের মত মরহুমা জিন্নাতুন নেশা তালুকদারকে মনোনয়ন দেওয়া হয় । তবুও তিনি হাল ছাড়েন নি । দীর্ঘ ৩৮ বছরের রাজনীতিতে তার অঙ্গীকার , ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা ও দুর্নীতিমুক্ত অসম্প্রায়িক সমাজ গড়া ও মানবকল্যানে নিয়োজিত থাকা ও বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা ও জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করাই তার একমাত্র স্বপ্ন।
রাজশাহীর জনগণের একটাই প্রত্যাশা, জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীতে রাজশাহীর সংরক্ষিত মহিলা আসনে মর্জিনা পারভিনকে এম,পি,হিসেবে মনোনয়ন প্রদান করবেন বলে সবাই আশাবাদী । কি বর্ষা কি শীত সুদীর্ঘ সময় রাজশাহীর মহিলা নেতা কর্মীদের সহযোগিতায় দলকে সুসংগঠিত করার লক্ষে অদ্যাবধি কাজ করে যাচ্ছেন । মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার অভূতপূর্ব উন্নয়নের বহুবিধ ফিরিস্তি সাধারণ জনমনে তুলে ধরেন । তিনি ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতি শেষ করে জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি হিসেবে অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে দলকে সুসংগঠিত করে রেখেছেন । প্রধান মন্ত্রীর উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ণ রাখতে তিনি এলাকা বাসীকে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন । সে আলোকে রাজশাহীর সকল উপজেলা , মহানগরীর বিভিন্ন পাড়া/ মহল্লার বিভিন্ন স্পটে মত বিনিময় , উঠান বৈঠক, ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান, সামাজিক অনুষ্ঠান, কর্মী সমাবেশে যোগদান, উন্নয়ন মূলক কাজের তদারকি করে থাকেন ।
তাছাড়া জননেত্রী প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার অত্যান্ত আস্থাভাজন, সদালাপী, সৎ ও নিষ্ঠাবান হওয়ায় রাজশাহীর সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি হিসেবে মনোনয়ন দিলে এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটবে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করেন ।সরেজমিনে বিভিন্ন উপজেলা ঘুরে দেখা যায় , সাধারণ জনগণের মতামতের ভিত্তিতে তিনি একজন ক্লিন ইমেজের ব্যাক্তিনি । নিজ খরচে বিভিন্ন দুঃস্থ মহিলাদের পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি সামাজিক, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে অবদান রাখার জন্য শীর্ষে অবস্থান করছেন । তিনি রাজশাহীর সকল এলাকায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন প্রগতির বিশ্ব নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্লোগানকে ধারণ করে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন চিত্র বিভিন্ন ব্যানার ও ফেস্টুনে প্রকাশ করেছেন । প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছেন । বিদ্যুতের আলোতে পড়ার জন্য বিনামূল্যে বই বিতরণ করেছেন । শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ । উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহীর প্রতিটি এলাকায় নৌকার প্রার্থীর জন্য জনগণকে নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার জন্য উদ্ভুদ্ধ করেন ।
রাজশাহী মহিলা আওয়ামীলীগের তৃণমূল থেকে নেত্রী পর্যায়ের সকলের একই চিন্তাভাবনা দ্বাদশ জাতীয় সংসদের পর রাজশাহী থেকে সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি হিসেবে রাজশাহী জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী মর্জিনা পারভীন যোগ্য বাক্তিনি , তার বিকল্প নাই বলে অনেকে মনে করেন । তিনি ২০০৫ সাল থেকে এ যাবৎ সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন।এ ছাড়া তিনি রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ছাড়াও বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন ।
বিগত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নির্বাচনী ইস্তেহারে মুল প্রত্যাশা ছিল দ্রব্যমুল্য সহনশীল রেখে জনগণকে স্বস্থি দেয়া। ব্যবসায়ীদের সকল সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দিয়ে সরকার ইতিমধ্যেই দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আর যাতে কোন মহল সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দ্রব্যমুল্য বৃদ্ধি করে জনদূর্ভোগ বাড়তে না পারে সে ব্যপারে শক্ত পদক্ষেপ নেয়া হবে।
তিনি দীর্ঘ ৩৮ বছর যাবৎ তৃনমুল পর্যায়ে জনকল্যানমুলক কাজ সহ জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন প্রচারনায় পাড়া / মহল্লা, উপজেলায় কাজ করে যাচ্ছেন । তাছাড়া স্থানীয় লোকজনকে নিয়ে প্রতিনিয়ত উঠান বৈঠক করে থাকেন । রাজশাহীর সংরক্ষিত মহিলা আসনের প্রার্থী তালিকায় অধিকতর জনপ্রিয় বলেই সর্বমহলে গুন্জন রয়েছে ।
নেত্রীর দলীয় সিদ্ধান্ত মেনেই দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন । ছাত্রী অবস্থা থেকে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত থেকেও একবারের জন্যও তিনি আওয়ামীলীগ থেকে এম,পি হিসেবে মনোনয়ন পান নি । তারপরেও উনি কখনও দলের সাথে বিরোধিতা করেন নি । এমনকি তিনি নেত্রীর সিদ্ধান্ত মেনে কাজ করে যাচ্ছেন ।
তার সার্বক্ষণিক একটায় চিন্তা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী ও নৌকার বিজয়ের লক্ষ্যে ঐক্যবদ্বভাবে কাজ করার বিকল্প নেই। একটি গোষ্ঠী নির্বাচনকে বাতিল করার জন্য পায়তারা করেছিলো ,সে সময় সবচেয়ে বড় মিশন ছিল নৌকার বিজয়ের লক্ষ্যে সর্বাত্মক সকলের সহযোগীতা ও নৌকাকে বিজয় করা।