জ্যামিতিক সূত্র আবিষ্কার করলেন দৈনিক নয়া কণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক জিয়াউল কবীর স্বপন
___________রাজশাহী ব্যুরো:
২(n-২)সূত্রটিতে ধ্রুবকে n এর স্থলে যতটি কোনের মান প্রয়োজন সে অংক বসিয়ে ক্যালকুলেশন করলেই সমকোণে মান নির্ণয় হবে। এটাই বহুভূজের কোণ পরিমাপের সূত্র।
৩ কোণের সমষ্টি ২ সমকোণ, ৪ কোণের সমষ্টি ৪ সমকোণকে তত্ব হিসেবে ধরে নিলে গবেষনায় পাওয়া যাবে ৫ কোণের সমষ্টি ৬ সমকোণ এবং ৬ কোণের সমষ্টি ৮ সমকোণ। এখানে দেখা গেছে ফলাফল যথাক্রমে ২,৪,৬,৮ অর্থাৎ ২,২ করে বেশি আছে। অতএব n এর পর n+১, n-১, n+২, n-২, n+৩, n-৩ ইত্যাদি ধ্রুবক n কে অগ্রসর হলে শেষ পর্যন্ত n(n-২) স্থলে সূত্র প্রকাশ পায়। n এর স্থলে যদি ৩ বসিয়ে উহার মান ২ সমকোণ অথবা n এর স্থলে ৪ সমকোণ বসিয়ে উহার মান ৪ সমকোণ পাওয়া যায় তবে বহুভুজের ক্ষেত্রে একটি মান চলে আসবে যা বহুভুজের কোণ ২(n-2) এর অবস্থান পরিমাপের সূত্র বলে বিবেচিত ও প্রমাণিত হয়েছে। n এর মান ৩ বসিয়ে সরল স্থানে মান পাওয়া যাচ্ছে। যাকে ২ সমকোণ বলা হয় যা ২(n-২)=২(৩-২)=২×১=২ সমকোণ। n এর স্থলে এভাবে নির্ণয়কোণ বসিয়ে ক্যালকুলেশনই হবে নির্ণয়কোনের সমকোণীয় পরিমাণ যাহা ২(n-২) সূত্র। উক্ত সূত্রটির সত্যতা যাচাই করেন অধ্যক্ষ মো: আবুল কালাম আজাদ । বর্তমানে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গনিত বিভাগের চেয়ারম্যান। অনুসন্ধানী বিজ্ঞান সংগঠনের বিজ্ঞানী ও গনিত শিক্ষকগনকে আবিস্কৃত সূত্রটি গানিতিক ও গ্রাফের সাহায্যে বুঝাতে সক্ষম হন যে, আবিস্কারের সূত্রটি সঠিক।
তার সোনালীময় বহুস্মৃতি উজ্জ্বলিত বটে।বহুভুজের n(n-২) সূত্রটির আবিস্কারক এই জিয়াউল কবীর স্বপন ,তার পিতা :- একেএম সিকান্দার একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা , মাতা : ফিরোজা ইয়াকুব গৃহিণী । তার পিতা বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের সমনেত্রীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা । জিয়াউল কবির স্বপনের ৫ ভাই । একজন বিমান বাহিনীর অফিসার, একজন বাংলাদেশ ব্যাংকের অফিসার, একজন ইসলামীক ফাউন্ডেশনের অফিসার , একজন নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ।
আবিস্কারক জিয়াউল কবীর স্বপন সাংবাদিক হিসেবে তার যেমন সুখ্যাতি আছে পাশাপাশি তিনি একজন জনসংযোগকারী হিসেবে সকলের মাঝে অতি সুপরিচিত ।
২(n-২) গানিতিক ও জ্যামিতিক সূত্র আবিষ্কারক জিয়াউল কবীর স্বপন সত্য,ন্যায়, সাম্য ইনসাফ আদল ইত্যাদি ক্ষেত্রে বা অধিকার মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় আপোষহীন হিসেবে দেশের জাতীয় ও স্থানীয় গন মাধ্যমে দীর্ঘ ২২ বছর যাবৎ সাংবাদিকতা করে চলেছেন । দৈনিক বাংলা বাজার, দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন, সংবাদ সংস্থা ইউএনবি,দৈনিক বাংলাদেশর সাপ্তাহিক মুসলিম জাহান, বাংলা বাজার, মহানগর বার্তা, মানব বার্তার জেলা প্রতিনিধি হিসেবে সাংবাদিকতা করেছেন । এছাড়া রাজশাহীর দৈনিক উপচার,দৈনিক প্রথম প্রভাত,দৈনিক সানশাইন,সপ্তাহিক উওর জনপদ,সপ্তাহিক ধরনীতে সাংবাদিকতা করেছেন । বর্তমানে বাংলাদেশ ট্রিবিউনের রাজশাহী বিভাগীয় ও মানববার্তা ও মানবটিভির জেলা প্রতিনিধি। তাছাড়া দৈনিক নয়া কণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি হিসেবে নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন ।
তিনি রাজশাহী পুলিশ লাইন স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ১৯৯৫ সালে ১০০০ এর মধ্যে ৮০০ নম্বর পেয়ে কৃতিত্বের সাথে লেটার নম্বর পেয়ে প্রথম বিভাগে এস,এস,সি ও রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। এরপর রাজশাহী নিউ গভ: ডিগ্রি কলেজ থেকে স্নাতক ও রাজশাহী টিটি কলেজ হতে বি এড ও রাজশাহী কলেজ হতে রাষ্টবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন।
২০০২-২০০৫ সালে আইন মনিটরিং অফিসার হিসেবে সামাজিক উন্নয়ন মানবাধিকার ও আইন সহায়তা কর্মী হিসেবে ব্র্যাকে কাজ করেন। এ সময় সিসিডি ও কেয়ার কর্তৃক বাংলাদেশের রিপোর্ট রাইটিং কম্পোজিশন -২০০৩ সফলতা সনদ লাভ করেন। ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত রাজশাহী দামকুরা থানার খোলাবোনা আলিম মাদ্রাসায় ও ২০০৭-২০০৮ সাল পর্যন্ত কাশিয়াডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ে গণিত বিষয়ে শিক্ষকতা করেন ।২০০৫ সালে বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি প্রশিক্ষনের উপর সাফল্য সনদ প্রাপ্ত হয়ে ২০০৭ সালে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের শিশু ও শিক্ষকতা সনদ লাভ করেন। বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ড থেকে ২০১০ সালে আমিনশীপ সনদ অর্জনের পাশাপাশি ২০১৩ সালে বাংলাদেশ এনটিআর সিএ শিক্ষক নিবন্ধন সনদ অর্জন করেন ।
২০০৫ সালে রাজশাহীর পবা প্রেস ক্লাব প্রতিষ্ঠা হলে তিনি সেই ক্লাবের দপ্তর সম্পাদক ও রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন ।১৯৯৮ সাল হতে অদ্যাবধি সকল নির্বাচনে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন । জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার রাজশাহী জেলার সাবেক পাঠাগার সম্পাদক ও রাজশাহীর গনিত শিক্ষা কেন্দ্রের সাবেক পরিচালক। অধুনা লুপ্ত দি আইডিয়াল ওয়েল ফেয়ার সোসাইটি, গ্রাম সরকার ফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পবা উপজেলার সোনাইকান্দি আইডিয়াল ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও নকল প্রতিরোধ আন্দোলনের পবা শাখার আহবায়ক ও অনুসন্ধানী বিজ্ঞান সংগঠনের আলোচক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন । তিনি স্টুডেন্ট এডুকেশন ট্রাস্ট এর সাবেক পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ।
বর্তমানে কাশিয়াডাংগা বাজার সমিতির সহ: সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী নগরীর একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের জন সংযোগকারী অফিসার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন ।
বাংলাদেশ সরকারের 5 policy (NIS,GRS,RTAPA,CE প্রকল্পের বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ National Institute of Mass Commission, Dhaka. ব্রিটিশ কাউন্সিলের যৌথায়নে তিনি ২০২০ সালে সাংবাদিক হিসেবে সাফল্য লাভ করায় সরকারী ভাবে সনদ প্রাপ্ত হন।
অসাধারণ এই প্রতিভার মানুষটি বর্তমানে দৈনিক নয়া কণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত থাকাই নয়া কণ্ঠের পরিবারের পক্ষ থেকে তার আগামীদিনের সাফল্য কামনা করছি ।