রাজশাহী -১ আসনে আওয়ামীলীগের স্বতন্ত্র ৪ জন প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র বাতিল
_____________রাজশাহী ব্যুরো
আজ রবিবার (৩ রা ডিসেম্বর ) সকাল সাড়ে ১০ টায় রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের ৪(চার ) জন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক । এর আগে সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শুরু হয়। এতে চিত্র নায়িকা মাহিয়া মাহিসহ আওয়ামীলীগের স্বতন্ত্র চার প্রার্থীরই মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। অন্য সাত প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে এ আসনের টানা তিনবারের এমপি ও আওয়ামী লীগ মনোনীত এবারের প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরীর মনোনয়নপত্র। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় ৪ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীই উপস্থিত ছিলেন। রাজশাহী-১ আসনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় মাহিয়া মাহির মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা হলে তিনি আপিল করবেন বলে সভাকক্ষ ছেড়ে চলে যান। চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন। মাহির গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলায়। আর তার নানার বাড়ি পার্শ্ববর্তী রাজশাহীর তানোর উপজেলায়। রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, শারমিন আক্তার নিপা মাহিয়া ওরফে মাহি তার সমর্থক হিসেবে যে ভোটারদের স্বাক্ষর দিয়েছেন তা যাচাই-বাছাই করতে গিয়ে গড়মিল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ললিতা মার্ডি নামের একজন নির্বাচনী এলাকার ভোটারই না। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল এলাকার ভোটার। তাই তার মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা মো. আখতারুজ্জামানের দেওয়া ভোটারদের স্বাক্ষরের তালিকাতেও গড়মিল পাওয়া গেছে। নয়জনের সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম রাব্বানীরও ভোটারদের তালিকায় তিনজনের ঠিকানা পাওয়া যায়নি। এছাড়া মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া আওয়ামী লীগের আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের স্ত্রী আয়েশা আখতার জাহান ডালিয়ার ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে। তাঁর সাতজন সমর্থকের সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। তাই মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক, রাজশাহী শামীম আহমেদ। তিনি জানান, আগে কখনও নির্বাচিত হননি এমন স্বতন্ত্র প্রার্থীকে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে সমর্থনের প্রমাণ হিসেবে নির্বাচনী এলাকার ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর জমা দিতে হয়। তারা প্রার্থীদের দেওয়া এই স্বাক্ষর থেকে ১০ জন করে ভোটারের তথ্য যাচাই করেছেন। এতে আওয়ামীলীগের চারজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের তালিকায় গড়মিল পাওয়া গেছে। মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণার পর স্বতন্ত্র চার প্রার্থী জানান,রিটার্নিং কর্মকর্তার এ সিদ্ধান্ত সঠিক হয়নি। তারা এর বিরুদ্ধে আপিল করবেন। এ আসনের প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরী (আওয়ামী লীগ) মো. শামসুজ্জোহা (বিএনএম), মো. আল-সাআদ (বিএনএফ), জামাল খান দুদু (তৃণমূল বিএনপি), নুরুন্নেসা (এনপিপি) ও বশির আহমেদ (মুক্তিজোট) ও মো. শামসুদ্দীনের (জাতীয় পার্টি) মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী ছাড়া অন্য প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। তফসিল অনুযায়ী সোমবার পর্যন্ত প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপিল করা যাবে ৬ থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আপিল নিষ্পত্তি করা হবে ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর । বৈধ প্রার্থীরা ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে তাঁদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে পারবেন। প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৮ ডিসেম্বর।