নয়া কণ্ঠ অনলাইন ডেস্কঃ
ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক) এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী, পঞ্চম ও সপ্তম সংসদে রাজশাহী-২, অষ্টম জাতীয় সংসদে রাজশাহী-৫ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য মো. কবীর হোসেনের মৃত্যুতে জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে।
বুধবার (৩১ মে) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এ শোক প্রস্তাব সংসদে উত্থাপন করেন।
শোক প্রস্তাবে বলা হয়, ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য নন্দিত চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক)-এর মৃত্যুতে দেশ একজন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং নিবেদিতপ্রাণ সমাজসেবককে হারালো। এ সংসদ তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ এবং তার রুহের মাগফিরাত কামনা এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আন্তরিক সহমর্মিতা প্রকাশ করছে।
শোক প্রস্তাবে স্পিকার বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে সাবেক প্রতিমন্ত্রী এবং পঞ্চম ও সপ্তম জাতীয় সংসদে রাজশাহী-২ এবং অষ্টম জাতীয় সংসদে রাজশাহী-৫ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য মো. কবীর হোসেন-কে হারিয়েছি।’
পরে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নেন। অন্যান্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, সরকারি দলের সদস্য আমীর হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আসাদুজ্জামান নূর, মেহের আফরোজ, হাবিব হাসান, বিরোধী দলের উপনেতা গোলাম মুহাম্মদ কাদের, বিরোধী দলের সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ ও আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।
এছাড়া, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ঐক্য ন্যাপের সভাপতি ও মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক পঙ্কজ ভট্টাচার্য, ভারতে বাংলা ভাষার অন্যতম জনপ্রিয় কথাশিল্পী সমরেশ মজুমদার, সাবেক তত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রোকিয়া আফজাল রহমান, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর প্রয়াত ভাষাসৈনিক এম এ ওয়াদুদের সহধর্মিণী ও শিক্ষা মন্ত্রী ড. দীপু মনি এমপি’র মা রহিমা ওয়াদুদ এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কনিষ্ঠ পুত্রবধূ কল্যানী কাজীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করা হয়।
পরে তাদের সম্মানে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন ও তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন সরকারি দলের সদস্য হাফেজ রুহুল আমিন মাদানী।