কুমিল্লা আদালতে এজলাস চলাকালীন আসামিরা মামলার বাদির উপর হামলা করে
সালমা আক্তার দাউদ কান্দি (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
১৫ তারিখ বুধবার পলাতক থাকা ৪ জন ওয়ারেন্ট কৃত আসামি কোর্ট সারেন্ডার করতে যায়,আদালতে দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেট মামলা শুনানি শেষে ৪ জনের মধ্যে থাকা তিনজনকে জামিন দেয় এক নম্বর আসামি সপন সরদার কে কাস্টুরিতে দেয়, জামিনে যাওয়া ৩ জন আসামি হেদায়েতুল, শাহিনা, সোহাগ, মামলার বাদীকে এজলাস চলাকালীন, ম্যাজিস্ট্রেট এজলাসে থাকা অবস্থায়, কোটের দরজায় মামলার বাদীকে সালমা আক্তার কে দেখিতে পাইয়া, একসাথে ৩ জন আসামি বাদি সালমাকে মারতে শুরু করে, এবং মেরে রক্তাক্ত যখম করে , পরবর্তীতে দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেট বলে আসামি কে উকিল নিয়ে আসার জন্য, আসামি আর উকিল নিয়ে আসে নাই, মামলার বাদীকে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়, এ বিষয় নিয়ে মামলা হবে।
আদালতে থাকা মামলা থেকে যানা যায়, আসামি সপন সরদার সালমার কাপড়ের দোকানের মালামাল আনা নেওয়ার দায়িত্বে ছিল , এক পর্যায়ে গিয়ে আসামী স্বপন সরদার বাদিনীকে কুপ্রস্তাব দেয়, বাদিনী স্বপন সরদারের কুপ্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায়, বিবাদী স্বপন সরদার বাদির উপর ক্ষিপ্ত হয়ে, বাদিনির বাসায় ডাকাতি ও হামলা চালায়, এবং জোরপূর্বক বাদিনিকে ধর্ষনআ করে, পরবর্তীতে এ বিষয় নিয়ে নারী শিশু ট্রাইব্যুনালে ৯/১ মামলা হয় ,বাদিনি নারী শিশু মামলা করায় আসামি স্বপন সরদার তার সঙ্গী সাথীদের কে নিয়ে, তারা হলো( সোহাগ,)( শাহিনা,) (হেদায়েতুল)দের কে সাথে নিয়ে বাদি সালমার অবর্তমানে বাধিনির (৬) বছরের ছেলে তাহমিদকে বাসা থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়, তারপর অপহরণকে ধামাচাঁপা দেওয়ার জন্য, চলন্ত একটি তিশা বাসের নিচে আসামিরা বাদিনের ছেলে তাহমিদ ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়, এ ঘটনায় আসামিদের বিরুদ্ধে সিআইডি ইনস্ট্রেশন টিম ৩২৬ /৩২৫/৩২৩ /৩০৭ ধারা দিয়ে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন,পরবর্তীতে আদালত এ মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন, ১৫ /১১/২৩ইং তারিখে আসামিরা আদালতে সারেন্ডার করতে আসে, আদালত আসামিদের মধ্যে থাকা ২/৩/৪ নম্বর আসামি কে অস্থায়ী জামিন দেয়, আর ১ নাম্বার আসামিকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।