চাঁপাইনবাবগঞ্জে দিনে দুপুরে ঘর থেকে স্বর্ণ অলংকার চুরি
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার.মহারাজপুরে দিনে দুপুরে বাড়ি থেকে.স্বর্ণ অলংকার চুরি করেছে.স্বপন নামের এক ( ১৫) বছরের কিশোর।
ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়.গত-২০ শে সেপ্টেম্বর বুধবার.দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়ন (৪নং) ওয়ার্ডের ভাগ্যবানপুর গ্রামের.মোঃ কারিম আলীর ছেলে.স্বপন তার নিজ ফুপুর ঘরের ভেতরে ঢুকে.ট্রাংকের ভেতর থেকে তালা খুলে ১টি স্বর্ণের চেইন. ১টি গলার কন্ঠহার. ১জোড়া কানের দুল.ও ২টি হাতের বালা চুরি করে নিয়ে যায়।
ঘটনার পরের দিন সকালে.স্বপনের বন্ধু একই গ্রামের. মোঃ আলমগীর হোসেনের ছেলে.হৃদয়ের কাছে বিক্রির জন্য রেখে যায়। এবং তাকে অন্য কোথাও বিক্রির ব্যবস্থা করতে বলেন। হৃদয়ের কাছে থাকা স্বর্নঅলংকার.একই গ্রামের স্থানীয় দোকানদার.মৃত মোঃ তৈয়ব হোসেনের.ছেলে
হাবিবুর রহমান হবু (৬৫) নিকট নিয়ে আসে তার সহযোগিতায় হাতের দুটি বালা হবু নিজের কাছে রেখে দিয়ে বাকি স্বর্ণের জিনিসপত্র মহারাজপুর ঘোড়া স্ট্যান্ডের মা জুয়েলার্সের মালিক শ্রী সাধু কর্মকারের কাছে ৪২ হাজার টাকাই বিক্রি করে দেন। শুধু তাই নয় স্বপন ও হৃদয় দুই বন্ধু মিলে চুরি করা স্বর্ন বিক্রির টাকা দিয়ে একটি মোটরসাইকেল কিনে তারা দুজনে এলাকায় রং বেরঙে বিশৃঙ্খল ভাবে ঘুরাঘুরি করতে গিয়ে গাড়ি কেনার প্রথম দিনই একটি ছাগল কে চাপা দিয়ে একজন ইউপি ওয়ার্ড সদস্যের মোটর সাইকেলের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে উভয়পক্ষ হাত পা মুখ জখম সহ তাদের কাছে থাকা দুটি মোটরসাইকেল ক্ষতিগ্রস্ত হয় ।
এই দুর্ঘটনার পর স্বপন ও হৃদয়ের পরিবারের
লোকজন এটা কোন মানুষের মোটরসাইকেল
নিয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে সেই উৎস খুঁজতে গিয়ে
সামনে বেরিয়ে আসে স্বর্ণ চুরির আসল রহস্য।
এলাকার স্থানীয় গণ্যমান্য সচেতন ব্যক্তিরা বলেন স্বপন ও হৃদয় এরা বাবা মায়ের অবাধ্য সন্তান তাদের পরিবার বিভিন্ন ভাবে শাসন করতে গিয়েও পরিবারের লোকজন ব্যর্থ হয়েছে। তারা আরো ও বলেন শুধু এরাই নয় এই এলাকায় উঠতি বয়সের এমন অনেক কিশোর আছে যারা ওই দোকানের ভিতরে বসে ঘন্টা পর ঘন্টা আড্ডা দেই এবং
সেখানে বিভিন্ন রকম নেশা সেবন করে সমাজে তারা বিশৃঙ্খলা ইভটিজিং সহ অনেক রকম অপকর্মের সাথে জড়িয়ে পড়েন।
২৭শে সেপ্টেম্বর বুধবার এলাকার একটি আম বাগানের ভিতরে ১১ সদস্য বিশিষ্ট গ্রাম্য সালিশি বোর্ডের মাধ্যমে বাদীর ১লক্ষ ১০ হাজার টাকার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্তদের কাছ থেকে হাতের দুটি বালা সহ নগদ ৬২ টাকা উদ্ধার করা হয়। বাকি ৩২ হাজার টাকা অভিযুক্ত(১)স্বপন (২) হৃদয় (৩) সহযোগী হিসাবে দোকানদার মোঃ হাবিবুর রহমান হবুকে ১০ হাজার ৭শত টাকা করে সর্বমোট ৩২ হাজার ১শত টাকা জরিমানা করা হয় এবং চুরির সহযোগিতা ও চুরির অপরাধে তাদের ৩ জনকে আবারোও ১০ হাজার টাকা করে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। স্বপন ও হৃদয়ের পরিবারের সদস্যর মাধ্যমে তারা দুজনকে ১০ জুতার বাড়ি মেরে শাস্তি দেওয়া এবং হাবিবুর রহমান হবু একজন বয়বৃদ্ধ মানুষ হওয়ার কারণে তাকে সমাজের সকলের কাছে হাত জোড় করে ক্ষমা চাওয়ার সিদ্ধান্তে উপনীত হয়।সালিসি বোর্ড তা বাস্তবায়ন করে।
ইউপি সদস্য মহারাজপুর ইউনিয়ন প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ তোহরুল ইসলামের সভাপতিত্বে (৫নং ওয়ার্ড) সদস্য মোঃ ফটিক আলী (৪নং ওয়ার্ড) সদস্য মনিরুল ইসলাম মন্টু ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ এলাকার অনেক জনসাধারণের উপস্থিতে সালিসি কার্যক্রম সমাপ্তি ঘটে।