যশোর জেলার পুলিশ সুপার জনাব প্রলয় কুমার জোয়ারদার, বিপিএম (বার), পিপিএম মহোদয়ের দিক-নির্দেশনায় ওসি ডিবি রুপন কুমার সরকার, পিপিএম (বার) এর তত্ত্বাবধানে জেলা গোয়েন্দা শাখার এলআইসি টিম জেলায় সংঘটিত বিভিন্ন চুরি, ডাকাতি, অপহরণ, হত্যার রহস্য উদঘাটনসহ অবৈধ অস্ত্রগুলি উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
তারই ধারাবাহিকতায় ইং ১৮/০৯/২০২৩ তারিখ সকাল ০৮:৩০ ঘটিকায় যশোর কোতয়ালী মডেল থানাধীন সাতমাইল মথুরাপুর মাঠে রেল লাইনের পাশে অজ্ঞাত মৃতদেহ মেয়ে বয়স অনুমান-১৪/১৫ পেয়ে জেলা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট এবং রেল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে উদ্ধার করে পরিচয় সনাক্তের চেষ্টা করে। ডিবি’র এল আইসি শাখার এসআই মফিজুল ইসলাম- পিপিএম সামাজিক যোগাযোগ সোশাল মিডিয়ায় ফেইসবুক এর মাধ্যমে পরিচয় সনাক্তের জন্য প্রচার করলে নিহতে পরিচয় সনাক্ত হয়।
সংবাদ পেয়ে ডিবি’র এসআই মফিজুল ইসলাম- পিপিএম এর নেতৃত্বে একটি টিম ভিকটিমের বাড়ী ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানাধীন দাড়িয়াপুর গ্রামে পৌছাইয়া ঘাতক ভিকটিম আখি মনি-র, পালিত পিতা মিন্টু সরদারকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে মিন্টু হত্যার দায় স্বীকার করে তথ্য প্রদান করে। পরে তার দেওয়া তথ্য মতে যশোর রেল ষ্টেশন সংলগ্ন হোটেল বৈকালী আবাসিকে অভিযান পরিচালনা করে হোটেল রেজিষ্ট্রারের পাতা জব্দ করে এবং মহেশপুর দাড়িয়াপুর গ্রামে আসামীর বসতবাড়ী থেকে ভিকটিম আখি মনি-র, ব্যবহৃত পায়েল নুপুর, নগদ ২,০০০/- টাকা জব্দ করেন অভিযানিক টিম।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়- ইং (১৬/০৯/২০২৩) তারিখ শনিবারে ভিকটিম আঁখি মনি-কে, তার পালিত পিতাঃ চৌগাছা বলুহ দেওয়ানের মেলায় নিয়ে যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ী থেকে নিয়ে মেলায় ঘুরাঘুরি শেষে পরের দিন রবিবার যশোর রেল ষ্টেশনে পৌছাইয়া হোটেল বৈকারী আবাসিকে ডি-৫ নং রুমে উঠে এবং সেখানে ভিকটিম মোছাঃ আখি মনি’র ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে তার পালিত পিতা মিন্টু। পরে ঐ দিন রাতেই ট্রেন যোগে বাড়ী ফেরার সময় রাতে যশোর রেল ষ্টেশনের পাশে ঝুপঝাড়ের মধ্যে পুনরায় ধর্ষণ করে। রাত অণুমান (১১:০০)টার সময় সীমান্ত এক্সপ্রেস যোগে বাড়ী ফেরার পথে ধর্ষণের ঘটনা ধাঁমাচাঁপা দেওয়ার জন্য চলন্ত ট্রেনে গলায় চাপ দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দেন।