
রায়পুরে ত্রাণের টিন ও টাকা বিতরণে অনিয়ম
মোঃ লিটন হোসেন লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
ত্রাণের টিনে গোয়াল ঘরের চাল বানিয়েছেন পৌর এক নম্বর ওয়ার্ডের যুবলীগ নেতা মায়েদুল ইসলাম মাদু। পাকা ভবন থাকার পরেও তাঁর স্ত্রী রাজিয়া সুলতানার নামে দেওয়া হয়েছে দুস্থদের ২ বান্ডিল টিন ও ৬০০০ টাকা। উদ্বৃত ৮ পিস টিন প্রতিবেশি সংখ্যালঘু গোবিন্দ বাবুর কাছে বিক্রি করলে তিনি টাকা দিতে দেরী করলে এ নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। গোবিন্দ বাবুকে রাতে ঘর থেকে টেনে হিছড়ে বের করে নিজেদের ঘরে নিয়ে আটক করে টাকা আদায়ের চেষ্টা চালানো হয় এবং সরকারি টিনের বিষয়টি চেপে যেতে নানান ভয়ভীতি দেখানো হয়। রাতেই খবর পেলে পুলিশ গিয়ে টিনের বিষয়টি দেখে। পরে টিনগুলো মাদুর পরিবার জোরপূর্বক নিয়ে যায়। এ নিয়ে ভুক্তভোগী গোবিন্দ বাবু ইউএনও অফিসে ও থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
# ড্রাইভার রাহাত হোসেনের বাবা মনির আহম্মদ এর নামে ২ বান টিন ও ৬০০০ টাকা দেওয়া হয়েছে।
# দালাল বাজার ইউনিয়নের মহাদেবপুর সদর উপজেলায় হলেও আমেনা বেগমকে রায়পুর উপজেলার সোনাপুরের বাসিন্দা দেখিয়ে ২ বান টিন ও ৬০০০ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি টাকা বা টিন কোনটিই পাননি।
সামছুন নাহারের ৩ সন্তান প্রবাসী। স্বামী মফিজ উল্যাহও সম্প্রতি দেশে এসেছেন। আধুনিক মানের একতলা পাকা ভবনে বসবাস করেন তিনি। তাঁর আইডি কার্ড ব্যবহার করে ইউএনও অফিসের অফিস সহায়ক মো. মোবারক ২ বান টিন ও ৬০০০ টাকা তুলে নিয়েছেন। এ ধরণের কোনো বরাদ্দের বিষয় জানেন না বলে নিশ্চিত করেছেন সামছুন নাহার।
# খোকন চন্দ্র দাস নিজেই জানেননা কে বা কারা তাঁর আইডি কার্ড ব্যবহার করে ২ বান টিন ও ৬০০০ টাকা তুলে নিয়েছেন। পরে বিষয়টির খোঁজ নিলে এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একজন অফিস সহায়কের নাম প্রকাশ পায়। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা চলছে।
… অনুসন্ধান এখনো চলমান। আরো তথ্য বের হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।