গোয়ালন্দে মরা পদ্মায় অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালি উত্তোলন, ঝুঁকিতে স্হাপনা-ফসলি জমি
মো. সাজ্জাদ হোসেন
গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার মরা পদ্মা নদীর উজানচর নতুন ব্রিজ এলাকায় অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এতে করে ফসলি জমি, বসতবাড়ি ও কয়েকটি পোল্ট্রি ফার্ম ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সরেজমিনে দেখা যায়, মরা পদ্মায় ড্রেজার বসিয়ে পাইপের মাধ্যমে বালু তুলে পূর্ব উজানচর, দক্ষিণ উজানচর নতুন পাড়া, বাহাদুরপুর কালুর মোড়সহ বিভিন্ন স্থানে মোটা পাইপের মাধ্যমে মাটি ও বালু ফেলা হচ্ছে। এ সকল মাটি-বালু বিক্রি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন মাটি খেকো চক্র। চক্রের দাবি তারা প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই বালু তুলছেন।
গোয়ালন্দ উপজেলার জামতলা থেকে দৌলতদিয়া ক্যানালঘাট পর্যন্ত বহমান মরা পদ্মায় কমপক্ষে ৪/৫ টি অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে দিনে-দুপুরে মাটি কাটছে দু-চারজন মাটি খেকোরা। মাটি কাটার ফলে ওই এলাকার বসত বাড়ি, মুরগির ফার্ম ও ফসলি জমি ভাঙ্গনের মুখে পরেছে।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) জানান, দিনের পর দিন এভাবে মাটি কাটার ফলে আমাদের ফসলি জমি ভেঙ্গে যাচ্ছে। এভাবে মাটি কাটা চালু থাকলে আমাদের বসতবাড়ি নিশ্চিহ্ন হতে সময় লাগবে না। মাটি কাটতে নিষেধ করলেও তারা আমাদের ভয়-ভীতি দেখায়।
ফকির সাইফুজ্জামান সান্টু নামের এক ব্যাক্তি জানান, তিনি ঢাকায় থাকেন। নদীর মাঝে তার জমিতে এলাহি নামের এক ব্যাক্তি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু তুলছেন। আমি নিষেধ করলে জানায় প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে বালু তুলছেন।
আলাপকালে ড্রেজার মালিক শহীদ ও জামাল দাবি করে বলেন, তারা জমির মালিকদের টাকা দিয়ে মাটি-বালি তুলছেন। তবে প্রশাসনের কাছ থেকে কোনো অনুমতি নেয়া হয়নি।
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যােতি বিকাশ চন্দ্র বলেন, নদী থেকে বালু উত্তোলন সম্পূর্ণ অবৈধ ও বেআইনি। তিনি কাউকে বালু বা মাটি তুলতে কোনো অনুমতি দেননি। সপ্তাহখানেক আগে স্হানীয়দের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে একটি ড্রেজার মেশিন ধ্বংস করা হয়েছে। আবারো কেউ নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু-মাটি তুললে অভিযান চালিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।