রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার নিজবাড়ী থেকে রুনা খাতুন (৩০) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার ভোর রাতে এ মরদেহ উদ্ধার করে পাংশা মডেল থানা পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ মিলন শেখ নামে তিন ব্যক্তিকে আটক করেছে। নিহত রুনা খাতুন জেলার পাংশার পাট্টা ইউনিয়নের মুছিদাহ খামারডাঙ্গী গ্রামের (কাতার) প্রবাসী আনিছুর রহমানের স্ত্রী।
নিহত গৃহবধুর চাচা শ্বশুর আতাহার মন্ডল জানান, আমার নাতি (নিহত রুনার কন্যা) ১০ বছর বয়সী, উম্মে সিনহা গভীর রাতে ঘুম ভাঙলে তার মাকে না দেখতে পেয়ে দেখে তার দেড় বছর বয়সী ছোট ভাই কান্না করছে। বারান্দায় এসে দেখেন প্রতিবেশী মিলন শেখ কে। তাকে জিজ্ঞাসা করেন আমার মা কোথায়? মিলন শেখ উত্তর দেয়, তোমার মা আমাদের বাড়ীতে গিয়েছে। মাকে ডাকতে গেলে মিলন শেখ তার মুখ চেপে ধরে টয়লেটের মধ্যে নিয়ে আটকে রাখে। কিছুক্ষণ পরে টয়লেটের দরজা খুলে দিয়ে পালিয়ে যায় মিলন। এসময় তার মায়ের পায়ে দড়ি দিয়ে পা বাঁধা অবস্থায় বাড়ীর উঠানে পড়ে থাকতে দেখা যায়। মায়ের কোন সারা-শব্দ না পেয়ে প্রতিবেশীদের ডেকে আনেন। প্রতিবেশীরা এসে তার নাম মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হলে, পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ।
প্রতিবেশী মিলন শেখের বাড়ীতে গেলে তার স্ত্রী চম্পা খাতুন জানান, প্রতিদিনের মত আমি আর আমার স্বামী একসাথেই ঘুমিয়ে পড়ি। পরে আমার স্বামী কোথাও গিয়েছে কিনা তা আমি জানিনা। আপনার স্বামী কোথায় জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুলিশ সকালে আমার স্বামীকে নিয়ে গেছে।
চম্পা খাতুন আরও জানান, নিহত গৃহবধুর বাড়ীতে তিনি কাজ করতেন শারীরিক অসুস্থতার কারণে ৬ মাস ধরে কাজ করতে পারেনি তিনি। আটক মিলন শেখ (২৫) একই গ্রামের খলিল শেখের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, মিলন শেখ কোন প্রকার কাজ-কাম করেন না। তার স্ত্রী চম্পা খাতুন মানুষের বাড়ী বাড়ী কাজ করে সংসার চালান।
এ ঘটনায় রাজবাড়ী জেলা পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) সুমন কুমার সাহা জানান, মর দেহ ময়না তদন্তের জন্য রাজবাড়ী মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের স্বজনরা থানায় এসে অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ঘটনায় মিলন শেখ নামে একজনসহ আরো ২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। তবে কেন এই হত্যাকান্ডেরর ঘটনা ঘটেছে, তা এখনো জানা যায়নি।