টাকা থাকলে চেয়ারম্যান হওয়া যায় কিন্তু বিচারক হয়ে রায় দেওয়া যায় না। নয়া কণ্ঠ
প্রকাশিতঃ
শনিবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৩
১৩৮৫
বার পঠিত
টাকা থাকলে চেয়ারম্যান হওয়া যায় কিন্তু বিচারক হয়ে রায় দেওয়া যায় না।
শরীয়তপুর প্রতিনিধি
ভাইলে নেই উত্তর তারাবুনিয়া , শরীয়তপুর জেলা, সখিপুর থানাধীন, উত্তর তারাবুনিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা, সাবেক ছাত্রলীগ “প্রবাসী মিলন সরকার” এক সাক্ষাৎকারে আমাদের বলেন, আমাদের উত্তর তারাবুনিয়াতে শাসন ব্যবস্থা এমন হয়েছে কেউ কাউকে খুন করে ফেললেও এলাকার চেয়ারম্যান, মেম্বার, অর্থলোভী কিছু মানুষ এবং কি যারা এলাকার মুরুব্বি তারা টাকার বিনিময়ে মাটিচাপা দিয়ে দেন। মিলন আরও বলেন বর্তমান যিনি চেয়ারম্যান (আলহাজ্ব ইউনুস আলী মোল্লা) উনি এর আগেও ২০১১ সালে চেয়ারম্যান ছিলেন, তিনি আগে জামায়াত-বিএনপি করতেন এখন আওয়ামীলীগ করেন, ২০১১ সালে উনি শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শফিকুর রহমান কিরন -কে দাওয়াত করে গরু খাওয়ানোর পরে চেয়ারম্যানি করার জন্য মাঠে নামেন। আর উনি এখন পরিচয় দেয় উনি আওয়ামীলীগের নেতা, মিলন আরও বলেন উনি (ইউনুস মোল্লা) আওয়ামীলীগ না, উনি হাইব্রিড আওয়ামীলীগ, উনি সুবিধাবাদী আওয়ামীলীগ ব্যবসা বাঁচানোর জন্য আওয়ামীলীগ করেন। আমরা এলাকার তরুণ প্রজন্মের আরও কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানতে পারি, ইউনুস মোল্লা চেয়ারম্যান হলে এলাকায় চোর-ডাকাত বৃদ্ধি পায়, খুনী ও ধর্ষণকারী বৃদ্ধি পায় উনি চেয়ারম্যান মানি এলাকার পাতিনেতারা চেয়ারম্যান। তরুণরা আরও বলেন উনি (ইউনুস মোল্যা) দুইবার চেয়ারম্যান হয়েছে, উনার শাসনামলে কেউ বিচার নিয়ে উনার কাছে গেলে আজ পর্যন্ত উনার সাহসীকতা দিয়ে একটা সঠিক বিচার করে দিতে পারেনি। তরুণরা আরও বলেন একজন চেয়ারম্যানের সাহস না থাকলে, সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে না পারলে, সঠিক বিচার করে না পারলে উনি চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করুক। উত্তর তারাবুনিয়ার ক্রীড়া প্রেমী কয়েকজন বলেন প্রায় একবছর আগে উত্তর তারাবুনিয়া ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে সিজন-১ খেলার আয়োজন করা হয়েছিলো, সুন্দর মতো খেলা চলতেছিলো কিন্তু ফুটবল খেলা মানেই তো একটু উত্তেজনা থাকবে, ১ও২ নং বনাম ৭নং ওয়ার্ড খেলার দিন একটি মারামারি হয় উনি স্ব-শরীরে মাঠে উপস্থিত থেকে কোন সমাধান করতে পারেনি বরঞ্চ সমাধান না করেই সন্ধ্যায় ঢাকা চলে যায়, গত কয়েকদিন হুসু নামের একটি বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী মেয়ে খুন হয় সেখানেও অন্যায়কারীর বিরুদ্ধে চেয়ারম্যানের কোন প্রতিবাদ নাই।
সর্বশেষ উত্তর তারাবুনিয়াবাসী সঠিক বিচারের দাবিতে শরীয়তপুর জেলা প্রশাসন, ভেদরগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী অফিসার, সখিপুর থানা পুলিশ প্রশাসন এবং শরীয়তপুর-২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপমন্ত্রী, নড়িয়া-সখিপুরের অভিবাবক একে এম এনামুল হক শামীম এমপি মহোদয়ের কাছে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং যারা খুন করেছে খুনীদের ফাঁসির দাবি জানিয়েছে।