চাঁপাইনবাবঞ্জে পৃথক হত্যা ও অস্ত্র মামলায় দু’জনের যাবজ্জীবন।
রাজশাহী ব্যুরো ঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জে দুটি পৃথক হত্যা ও অস্ত্র মামলায় নাসিম আলী(২৭) ও জাহিরুল ইসলাম(৩৯) নামে দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। সেই সাথে হত্যা মামলায় নাসিমকে পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও ২ বছর বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেয় আদালত। অপরদিকে অস্ত্র মামলায় জাহিরুলকে পৃথক অপর এক ধারায় আরও সাত বছর কারাদন্ডের আদেশ দেয় আদালত। আদেশে উল্লেখ করা হয় জাহিরুলকে যাবজ্জীবন দন্ড ভোগের পর ৭ বছর দন্ড ভোগ করতে হবে।
রবিবার (৩০জুন) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিনিয়র দায়রা জজ হিসেবে হত্যা মামলার ও সিনিয়র ষ্পেশাল ট্রাইবুনাল-১ এর বিচারক মোহা : আদিব আলি অস্ত্র মামলার রায় ঘোষণা করেন । এ সময় উভয় আসামী অনুপস্থিত (পলাতক) ছিলেন। হত্যা মামলায় দন্ডিত নাসিম জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার তর্তিপুর আলীডাঙ্গা গ্রামের মো. সেসরুলের ছেলে। হত্যার শিকার রংমিস্ত্রী জিয়াউর রহমান টকিন(২৫) তর্তিপুরের মনিরুল ইসলামের ছেলে। অস্ত্র মামলায় দন্ডিত জাহিরুল জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার চৌডালা ইউনিয়নের নন্দলালপুর গ্রামের সাদিকুল ইসলাম কুলুর ছেলে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী(পিপি) নাজমুল আজম হত্যা মামলার ব্যাপারে গণমাধ্যমকে বলেন, ২০১৭ সালের ৮ সেপ্টেম্বর রাতে মোবাইল কেড়ে নেবার জন্য বাড়ির নিকটে টকিনকে লঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে নাসিম ও তার এক কিশোর (১৬) সহযোগি। এ ঘটনায় পরদিন শিবগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে মামলা করেন টকিনের পিতা মানিরুল ইসলাম। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের তৎকালীন উপ-পরিদর্শক আবু আবদুল্লাহ জাহিদ ২০১৭ সালের ৩১ অক্টোবর ওই দুজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। ১৮ জনের সাক্ষ্য, প্রমাণ ও শুনানী শেষে আদালত নাসিমকে দোষি সাব্যস্ত করে সাজা প্রদান করেন। মামলার কিশোর আসামীর বিচার শিশু আদালতে প্রক্রিয়াধীন । আসামীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এড. শফিক এনায়েতুল্লাহ।
অস্ত্র মামলার ব্যাপারে পিপি বলেন, ২০২২ সালের ৩১ মে রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ র্যাব ক্যাম্পের অভিযানে ২টি পিস্তল, ২টি ম্যাগজিন ও ৬ রাউন্ড গুলিসহ গোমস্তাপুরের বোয়ালিয়া ইউনিয়নের সড়গ্রাম বালিকা বিদ্যালয় এলাকা থেকে জাহিরুল গ্রেপ্তার হয়। এ ঘটনায় পরদিন গোমস্তাপুর থানায় র্যাবের তৎকালীন উপ-পরিদর্শক আকরামুল হক জাহিরুলকে একমাত্র আসামী করে মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও গোমস্তাপুর থানার ওসি দিলীপ কুমার দাস ২০২২ সালের ৩০ জুন বিক্রির উদ্দেশ্যে বেআইনি অস্ত্র হেফাজতে রাখায় একমাত্র জাহিরুলকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। ৯ জনের সাক্ষ্য,প্রমাণ ও শুনানী শেষে আদালত জাহিরুলকে দোষি সাব্যস্ত করে সাজা দেন । আসামী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এড. রেজাউল আহসান রহিম।