বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহ-সম্পাদক হলেন রাজবাড়ী জেলার কৃতি সন্তান পরিশ্রমী ও মেধাবী শিক্ষার্থী মোঃ রেজাউল করীম ।
নিজস্ব প্রতিবেদক রাজবাড়ি
বৃহস্পতিবার ( ১৩ জুলাই) রাতে ৩০১ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটির অনুমতি দেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান ।
মোঃ রেজাউল করীম, স্কুল জীবন থেকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাথে দীর্ঘ দিন থেকে সক্রীয় ২০০৩ সালে ওয়ার্ড ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক ছিলেন, সে সময় সুলতানপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন মোঃ নাসির উদ্দিন সরদার ও সাধারন সম্পাদক মোঃ শামীম ব্যাপারী।এভাবেই মোঃ রেজাউল করীমের প্রথম যাত্রা শুরু হয়েছিল। ছোট্র বয়স থেকে অত্যান্ত দুরন্ত প্রকৃতির খেলা ধুলা ও সামাজিক সকল কর্মকান্ড ও মিছিল মিটিং তাহার ছিল একচ্ছত্র অংশগ্রহন।
ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিউটে অধ্যায়ন রত অবস্হায় ছাত্রলীগের সকল কর্মসূচীতে ছিল তাহার ব্যাপক সক্রীয়তা,ফরিদপুরে দীর্ঘদিন ছাত্রলীগের কমিটি না থাকায়ও তিনি তাহার কাজ থেকে পিছিয়ে পড়েননি এগিয়ে গেছে সামনের দিকে।
সে এক সময় রাজবাড়ী সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি ছিলেন। এরপর তিনি ২০১৩ সালে ঢাকা ড্যাফডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে পড়ুয়া কালিন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সকল কর্মসূচি ও প্রগ্রামে সক্রীয় হয়ে কাজ করে,তারই ধারাবাহিকতায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক রাজবাড়ী ১ আসনে নির্বাচন পরিচালনা সম্বনয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হোন।
এরপর ২০২২ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক এক্সেটেনশন শূন্য পদে- বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের উপ তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। বাংলাদেশ কারিগরি ছাত্র সংসদের(ফপই) সাবেক শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ছিলেন
তিনি সামাজিক সংগঠনের মধ্যে,
রাজবাড়ী সদর উপজেলা, জালদিয়া সূর্যসেনা ক্রীড়া সংঘের সাধারন সম্পাদক ও তরুন যুব সংঘের প্রতিষ্ঠাতা।
তিনি করনাকালিন সময় এলাকায় সকল প্রকার সাহায্য সহযোগিতা করে পাশে ছিলেন, এছাড়া এলাকা সহ যে কোন দুস্হ অসহয় মানুষের জন্য কাজ করে, প্রতিটি মানুষের বিপদে তিনি পাশে থেকে কাজ করেন।
মোঃ রেজাউল করীমের বাবা – আঃ খালেক মুন্সি বাবু রাজবাড়ী সদর, সুলতানপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক।
মুলত স্কুল পড়ুয়াকালীন ততসময় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি নাসির উদ্দিন সরদারের হাত ধরেই ছাত্রলীগের যাত্রা শুরু।
মোঃ রেজাউল করীম বলেন,
শুরুতে শ্রদ্ধা নিবেদন করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী, মহাবিজয়ের মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের প্রকাশিত পূর্নাঙ্গ কমিটি প্রকাশ হওয়ায়, ধন্যবাদ জানাচ্ছি ইতিহাসের রোল মডেল, দেশরত্ন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আপা কে সেই সাথে ধন্যবাদ জানাই
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান ভাইকে- যারা আমাকে ৩০১ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটিতে সহ সম্পাদক হিসাবে নির্বাচিত করেছেন।
আমি পদের জন্য রাজনীতি কখনও করিনি করবও না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে বুকে ধারন করে কাজ করতে চাই। গরীব অসহায় ছাত্রদের পাশে থেকে এবং অধিকার আদায়ে কাজ করে পাশে ছিলাম থাকব।
আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করার চেষ্টা করব। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে ধারণ করে জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ভিশন-৪১ বাস্তবায়নে পরিকল্পিত উন্নয়ন- আধুনিক আত্ননির্ভরশীল “স্মার্ট বাংলাদেশ” গড়ার জন্য কাজ করতে চাই। এছাড়াও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে নিজের সেরাটা দিয়ে কাজ করে যাব ।