মাহমুদুল হাসান
বাবা ইবরাহীম আ. কে বলা হয়েছিল: সন্তানকে কুরবানি করো। ‘প্রিয়বস্তু’ কুরবানি করো, এমনটা প্রমাণিত না। কুরআনে এমনটাই এসেছে:… ‘আমি দেখলাম আমি তোমাকে জবেহ করছি’।
আমরাও কুরবানি করি। পশু তো প্রতীকী। আল্লাহ আদেশ করেছেন, তাই। একটু চোখ বুঁজে ভাবি তো। আল্লাহকে খুশি করতে আমার কী কী কুরবানি আছে? আমি ঠিক কী কী ছেড়েছি আল্লাহর জন্য? ঠিক এ কথাটাই কিন্তু আল্লাহ কুরআনে বলেছেন: “পশুর রক্ত-গোশত আমার কাছে পৌঁছোয় না। পৌঁছোয় তোমাদের তাকওয়া”। (যে যে গুনাহ তোমরা ছাড়ো, যে ভালো কাজগুলো আমার জন্য করো)
এবার কুরবানির ঈদে আপনি যা যা আল্লাহর খাতিরে ত্যাগ করবেন, সেটাই পৌঁছবে। সেটা হতে পারে ব্যক্তিগত গোপন গুনাহ, হতে পারে লোভনীয় হারাম চাকরি, হতে পারে লাভজনক হারাম ব্যবসা, দুর্নীতি, বা হতে পারে নিজের কোনো খারাপ সিফত (রাগ-হিংসা-গীবত-অহংকার)।
ঠিক করুন, এবার ঈদে কী কী ছাড়ছেন। কী কী কুরবানি দিচ্ছেন। কোন কোন হারাম সুখ, হারাম বিনোদন, হারাম অর্জন আল্লাহর জন্য; শুধু আল্লাহর জন্য ত্যাগ করছেন চিরকালের মতো। বাবা ইবরাহীম ত্যাগ করেছিলেন সব জায়েয জিনিস, আল্লাহর আদেশে। আমরা ত্যাগ করবো সব হারাম জিনিস।
নিঃসন্দেহে হারামের সুখ সাময়িক, কষ্ট বেশি। হালালে সুখ বেশি, হয়তো শুরুতে একটু ডোপামিন কম কম আসে। আসা শুরু হলে বানের মতো আসে।
এবারের কুরবানি হোক সত্যিকারের কুরবানি