নয়া কণ্ঠ ডেস্ক
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আশার প্রদীপ কোনোদিনও নেভে না। কিন্তু আজকে আপনারা আমাদের বলতেছেন সরকারি দলকে সংলাপের কথা। আপাতত আমরা এ বিষয় নিয়ে ভাবছি না। গতকাল বলেছি, এই মুহূর্তে সংলাপ নিয়ে আমাদের কোনো ভাবনা নেই। ভবিষ্যতের কথা ভবিষ্যতে বলা যাবে। এই মুহূর্তে না।
তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) বারবার একই কথা বলে। বিগত নির্বাচনেও তারা পানি ঘোলা করে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে আসেনি। নির্বাচন এর বাইরে তাদের আগুন সন্ত্রাস তৎপরতা ও নির্বাচনে বাধা দেবার ইচ্ছা থাকতে পারে। তবে তারা আওয়ামী লীগের জন্য নিষেধাজ্ঞা আনতে গিয়ে এখন নিজেরাই ভিসা নীতির ফাঁদে পড়েছে। তাদের মুখ শুকিয়ে গেছে। মুখে যদিও বলছে না।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার, পার্লামেন্ট বিলুপ্ত ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ- বিএনপির এই তিন দাবির প্রেক্ষিতে আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন, বিএনপি বলছে, এই তিনটি না হলে তারা নির্বাচনে আসবে না। আমরা বলছি – এই তিনটি বিষয় কোন কারণে? সরকার কেন পদত্যাগ করবে? কোন কারণে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করবেন? সংসদের সদস্যরা কী তাকে চান না? পার্লামেন্টে যদি তিনি মেজরিটি হারান তাহলে তিনি পদত্যাগ করতে পারেন। এ ছাড়া অন্য কোনো কারণ নেই।
তারা বারবার একই কথা বলছে যে,আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাদ দিয়েছে। বিষয়টি উচ্চ আদালত বাদ দিয়েছেন, আওয়ামী লীগ নয়। ততত্ত্বাবধায়ক সরকার মারা গেছে, সেই ডেড ইস্যুকে নতুন করে জীবিত করব কেন? এটা তো আমাদের কোনো প্রয়োজন নেই। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া নির্বাচন হলে বাংলাদেশে কেন হবেনা? আমাদের সংবিধান আছে। কোন কারণে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসবে? কিসের জন্য আসবে?