নিজস্ব প্রতিবেদক রাজবাড়ী ঃ একদিকে বর্তমান সরকারের হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে প্রস্তাবিত দৌলতদিয়া টু পাটুরিয়া ফেরীঘাট সহ নদী শাসন প্রকল্পের কাজ, অন্যদিকে অন্তত ৫০০টি পরিবারের বসবাস, সেই সাথে শত বিঘা তিন ফসলি জমি যেখানে কৃষকেরা চাষ করেছে বাদাম,ভুট্টা সহ নানা ফসল। এই পুরো পরিকল্পনা ধুলিস্যাৎ হতে চলছে একটি প্রভাবশালী মহলের নির্বিচারে রাজবাড়ী জেলার দৌলতদিয়ার ৭নং ফেরীঘাট সংলগ্ন,পদ্মা নদীর তীর থেকে অবৈধভাবে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার বালু উত্তোলন করার ফলে। বর্ষা মৌসুম যাওয়ার পর থেকে, এই চক্রটি সারা মাসব্যাপি প্রতিদিন একাধিক ভেকু মেশিন ও ১০০ টিরও বেশি ড্রাম ট্রাক দিয়ে দিবারাত্রি শত শত ট্রাক বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে জেলার বিভিন্ন স্থানে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে অত্র এলাকার জনজীবন। কারণ বালুবাহী ট্রাকের উচ্চ শব্দে হচ্ছে শব্দ দুষণ,অতিরিক্ত লোডের কারণে নষ্ট হচ্ছে গ্রামীন রাস্তাঘাট, অন্যদিকে অদক্ষ চালকের বেপরোয়া গতিতে বালুর ট্রাক চালানোর কারণে প্রানের সংশয় বেড়েছে অত্র এলাকার কোমল মতি স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী সহ সাধারণ মানুষের। এমন ঘটনায় কোন গুরুত্ব দিচ্ছে না গোয়ালন্দ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা। কারণ ইতিমধ্যে একাধিক জাতীয় প্রত্রিকায় এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলেও, তিনি কোনো প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
তবে ভিন্ন কথা বলছেন এলাকাবাসী,তারা জনান বালু উত্তোলনকারী চক্রের সাথে গোয়ালন্দ উপজেলার একাধিক ব্যক্তির সম্পৃক্ততা রয়েছে। যার কারণে এই চক্রটি এতো বড় ধ্বংস চালিয়ে যাচ্ছে কিন্তু তারপরও নিরব ভুমিকায় রয়েছে প্রশাসন সহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।
তবে এমন অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন। পরে প্রতিবেদক’কে মুঠোফোনে জানান,নদীর তীর থেকে বালু উত্তোলন করার কোন সুযোগ নাই, যদি কেউ করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।