রূপগঞ্জের গ্যাস বিস্ফোরণে মেয়ের পর বাবার মৃত্যু এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে তিনজন।
রূপগঞ্জ নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি:
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আউখাব এলাকায় বসতবাড়িতে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের পাঁচজন দগ্ধের ঘটনায় আলী আহমেদ (৬৫) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে তিনজনে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে শেখ হাসিনা বার্নে আলী আহমেদের স্ত্রী হাসনা বানু (৫৫) ও ছেলে ওমর ফারুক (১৮) ভর্তি আছেন।
গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ১টায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা যান তিনি। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম।
ডা. তরিকুল ইসলাম জানান, আলী আহমেদের শরীরে ৫৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। বর্তমানে বার্ন ইনস্টিটিউটে ৪৬ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে তাঁর স্ত্রী হাসুন বানু ও ১৫ শতাংশ নিয়ে ছেলে ওমর ফারুক ভর্তি আছেন। তাঁদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
এর আগে গত সোমবার সন্ধ্যায় ৯০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে মারা যান তার ভাই সোনাউদ্দিন (৪৫)। আর গতকাল বুধবার রাত ৮টায় মারা যান মেয়ে সাহারা বেগম (২৪)।
গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে রূপগঞ্জের আওকাবো বাজার এলাকায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ থেকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে দগ্ধ হন, হাসনা বানু (৫৫), তাঁর স্বামী আলী আহমেদ (৬৫), ছেলে ওমর ফারুক (১৮), মেয়ে সাহারা বেগম (২৪) ও ভাই সোনাউদ্দিন (৪৫)। হাসনা বানুর ভাতিজা বড় ছেলে ফরমুজ আলী জানান, রূপগঞ্জের ওই বাড়ির নিচ তলায় ভাড়া থাকেন তাঁরা। হাসনা বানু গৃহিণী, তার স্বামী ও ভাই গাউছিয়া বাজারে শুটকির দোকান করেন। এ ছাড়া মেয়ে সাহারা প্রতিবন্ধী এবং ছেলে ওমর ফারুক স্থানীয় অনুপম গার্মেন্টসে চাকরি করেন।
ফরমুজ আলী আরও জানান, বাসাটিতে লাইনে তেমন গ্যাস থাকে না। সেজন্য রান্নার কাজে গ্যাসের চাপ বাড়াতে ২ সপ্তাহ আগে একটি যন্ত্র লাগিয়েছেন। রাতে তারা যখন বাসায় ঘুমিয়ে ছিলেন, তখন ওই গ্যাস লিকেজ থেকেই এই বিস্ফোরণ ঘটে বলে তাদের ধারণা।
ঘটনার পরপরই প্রতিবেশীরা তাঁদের উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জের ইউএস-বাংলা হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে তাদেরকে ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়। তবে ভাগ্যক্রমে ফরমুজ আলী গার্মেন্টসে কাজে থাকায় আগুনের হাত থেকে বেঁচে যান।