মো:ফারুক আহমেদ ঘাটাইল টাঙ্গাইলঃ
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলের সরকারি জিবিজি কলেজের নৈশপ্রহরী ইউসুফ (৪০)গত ০৫/০৬/২৫ তারিখে কলেজে ডিউটিরত অবস্থায় নিখোঁজ হয়। এ সংক্রান্তে ভিকটিমের পরিবারের পক্ষ হতে ঘাটাইল থানায় একটি নিখোঁজ সাধারণ ডায়েরী (জিডি নং-৩৮৫, তারিখ- ০৮/০৬/২৫ করেন। উক্ত জিডির তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনার সময় গত ১০/০৬/২৫ তারিখে জিবিজি কলেজের উত্তর পাশের নর্দমার কচুরিপানার ভিতর হতে ভিকটিম ইউসুফের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ভিকটিম ইউসুফ এর স্ত্রীআল্পনা খাতুন (২৯) বাদী হয়ে অভিযোগ দেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে হত্যা মামলা রুজু করা হয়।ঘাটাইল থানার মামলা নং ০৫, তারিখ-১০/০৬/২৫, ধারা-৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০।পরবর্তীতে তদন্তে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে মোট ৩ (তিন) জন সন্দেহভাজনকে আটক করে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদনসহ বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়। বিজ্ঞ আদালত আসামিদের ০৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। রিমান্ডে থাকা গ্রেফতারকৃত আসামিদের মধ্যে জিবিজি কলেজের অপর দুই নৈশ প্রহরী মোঃ সবুজ মিঞা @ ফরিদ (৪৫), পিতা, সাত্তার, লাঙ্গুলিয়া, থানা- মুক্তাগাছা,মোঃ জুয়েল (৩৫), পিতা-মৃত খোয়াজ আলী, সাং- গৌরিশ্বর,ঘাটাইল,টাঙ্গাইল।জিজ্ঞাসাবাদে ঘটণার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করে। পরবর্তীতে গত ১৩/০৬/২০২৫ খ্রিঃ তারিখে আসামি ফরিদ ও জুয়েলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ঘটনাস্থলে আসামীদের নিয়ে গেলে ঘটনাস্থলের সন্নিকট হতে তাদের দেখানো ও বের করে দেয়া মতে ভিকটিম ইউসুফ এর ব্যাবহৃত ১।একটি বল্লম, একটি নোকিয়া বাটন মোবাইল, একটি টর্চ লাইট ও একটি বাঁশি উদ্ধার করা হয়। আসামি ফরিদ ও জুয়েল গত ১৪/০৬/২৫ তারিখে বিজ্ঞ আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। বর্তমানে মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। অধিকতর তদন্ত শেষে বিজ্ঞ আদালতে প্রতিবেদন প্রেরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন মামলা তদন্ত কর্মকর্তা ঘাটাইল থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ রাজু আহমেদ।হত্যার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ভিকটিম ইউসুফ, আসামি জুয়েল ও ফরিদ ঘাটাইল জিবিজি কলেজের নৈশ প্রহরী ছিল। কলেজের নৈশকালীন ডিউটি নিয়ে ভিকটিম ইউসুফ এর সাথে আসামি জুয়েল ও ফরিদ এর ঝগড়া লেগেই থাকত। আসামীদ্বয় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে গত ০৫/০৬/২০২৫ তারিখ দিবাগত রাত্রি অর্থাৎ ০৬/০৫/২০২৫ তারিখ অনুমান ০০.৪৫ ঘটিকা হতে ০২.৩০ ঘটিকার মধ্যে যেকোন সময় ঘাটাইল জিবিজি কলেজের ভেতর হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে এবং হত্যা করে ভিকটিম ইউসুফ এর মৃতদেহ গোপন করার জন্য আসামি ফরিদ ও জুয়েল ঘাটাইল জিবিজি কলেজের উত্তর পাশে নর্দমার (পাগার) মাঝখানে কচুরিপানার নিচে রেখে আসে।এবিষয়ে ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে আসামী ফরিদ ও জুয়েল হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করে। আাসামীদ্বয় বিজ্ঞ আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। মামলাটি তদন্তাধীন। অধিকতর তদন্ত শেষে বিজ্ঞ আদালতে প্রতিবেদন প্রেরণ করা হবে।