দিনাজপুর প্রতিনিধি:
দিনাজপুর জেলার মির্জাপুর (বাস টার্মিনাল) এলাকার বাসিন্দা হারুন রশিদ সম্প্রতি একটি গুরুতর অভিযোগ তুলে ধরেছেন মোঃ সাইদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে, যিনি বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলেজে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী (দপ্তরী) পদে কর্মরত।
হারুন রশিদের দাবি অনুযায়ী, মোঃ সাইদুল ইসলাম ১৯৯২ সালে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে চাকরিতে যোগদান করেন। চাকরিতে প্রবেশের সময় যে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র তিনি দাখিল করেন, তাতে তার জন্মতারিখ ছিল ২৭ নভেম্বর ১৯৭৬। কিন্তু জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী তার প্রকৃত জন্মতারিখ ১৫ আগস্ট ১৯৭০। এই বৈষম্যই প্রমাণ করে যে, তিনি ভুয়া সনদ ব্যবহার করে সরকারি চাকরি হাসিল করেছেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, তিনি ভুয়া সনদের মাধ্যমে দীর্ঘদিন যাবৎ সরকারি চাকরিতে বহাল থেকে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে অবৈধভাবে বেতন ও ভাতা উত্তোলন করেছেন এবং দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছেন। দিনাজপুর শহরে তাঁর নামে দুটি বাড়ি রয়েছে এবং তাঁর বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে সরকারি ওষুধ চুরিসহ নানা দুর্নীতির অভিযোগ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।
এছাড়া মোঃ সাইদুল ইসলাম দিনাজপুর জেলা মটর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের (রেজি: নং ১১৬৭) একজন সক্রিয় সদস্য (সদস্য নং ৩৭৩৪) হিসেবেও পরিচিত। অভিযোগ রয়েছে, তিনি দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার কারণে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজে বদলি করা হয়। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, তিনি নিয়মিত মাদক সেবন করেন এবং বেপরোয়া ভাবে মোটরবাইক চালিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন। তার বিরুদ্ধে একজন নারী লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন, যা তাঁর অনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রমাণ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে।
স্থানীয়দের প্রশ্ন—এতসব অপরাধে জড়িত ব্যক্তি কীভাবে এখনো সরকারি চাকরিতে বহাল আছেন? কে তার পৃষ্ঠপোষক?
এই বিষয়ে যথাযথ তদন্ত করে মোঃ সাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন, রংপুর মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং জেলা প্রশাসক, দিনাজপুরের নিকট।