রামগতিতে গণকবরের টাকা আত্মসাতে প্রকল্প কর্মকর্তাকে স্ট্যান্ড রিলিজ।
ফিরোজ আলম পরশ, রামগতি (লক্ষীপুর) প্রতিনিধি :
লক্ষীপুরের রামগতিতে গণকবরের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় উপজেলা প্রকল্পবাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। বুধবার (২৭ নভেম্বর) উপজেলা প্রশাসন ও বিশেষ প্রজ্ঞাপন সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।
সূত্রে জানা গেছে, রামগতি উপজেলার চরবাদাম ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে বিশেষ গণকবর হওয়ার কথা। গত ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে অতিদরিদ্র্যের জন্য কর্মসৃজন কর্মসূচী প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ধরা হয় গণকবরে। ওই প্রকল্পের কাজ এক বছরেও সম্পন্ন করতে পারেনি সংশ্লিষ্টরা। অথচ প্রকেল্পর সমপরিমাণ বিল উত্তোলন করে আত্মসাত করেছে বলে জানান স্থানীয়রা।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, গণকবরের প্রবেশে পথে বিশাল ভুলুয়া নদী। যেখানে যেতে বাঁশের সাকোঁই একমাত্র ভরসা। গণকবরের চারিদিকে নেই কোন ঘনবসতিও। রাস্তাও ব্রীজ না করে গণকবর করাও এলাকাবাসীর মাঝে প্রশ্ন শেষ নেই ।
স্থানীয় আতিকুল ইসলাম, রইজল, হুমায়ুন কবির ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, যে স্থানে গণকবর দেওয়া হয়েছে যেখানে মৃত মানুষ নিতে অনেক সমস্যা রয়েছে। বর্ষা মৌসুমেও গণ কবরে যাওয়ার কোন উপায় নেই। উপজেলা প্রশাসন প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের মাধ্যমে টাকা আত্মসাত করতে এমন মহাপরিকল্পনা করেছেন। তারা আরো বলেন, প্রকল্পের কাজ অসমাপ্ত রেখে কিভাবে বিল-ভাউচারে সহি স্বাক্ষর করেন। উপজেলা ইউএনও-পিআইও’র যোগসাজশে প্রকল্পের টাকা ভাগভাটোয়ারা করে সম্পূর্ণ দুর্নীতি অনিয়ম করেছেন। তবে এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গণকবরের আশপাশে জনপ্রতিনিধিদের পুনঃরায় কাজ করার আনাগোনা দেখা গেছে।
উপজেলা প্রকল্পবাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম বলেন- গণকবরের কাজ চলমান সময়ে আমি দেশের বাহিরে হজ্বে ছিলাম। বিষয়টা কি হয়েছে না হয়েছে আমি জানি না। আমি একটু অবগত হই; আমি রবিবারে অফিসে আসলে আপনারাও আসেন। স্ট্যান্ড রিলিজের বিষয়টি তিনি নিশ্চিত করে বলেন, লক্ষীপুর থেকে আমাকে কুমিল্লা দেওয়া হয়েছে। অফিস অর্ডার মানতেতো হবেই।
রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মো. আমজাদ হোসেন বলেন, উপকূলীয় মানুষের দুঃখ-দুর্দশার কথা ভেবে গণকবর করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। পর্যায়ক্রমে সকল ইউনিয়নেই এমন সামাজিক অতিগুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম চলবে। অতিদ্রæতই ওই প্রকল্পের অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করা হবে বলে জানান ওই কর্মকর্তা। এছাড়া উপজেলা প্রকল্পবাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) এমন অসমাপ্ত কাজের বিষয়টি আমাকে অবহিত করেন নাই। সত্যিই বিষয়টা দুঃখজনক।