নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় জামাইকে ফাঁসাতে গিয়ে ফেঁসে গেলেন শ্বশুর
শহীদুল ইসলাম রুবেল,
নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধি:
নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় মেয়ের জামাইকে ফাঁসানোর জন্য জীবিত মেয়েকে লুকিয়ে রেখে জামাইয়ের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করে শ্বশুর। মামলাটির তদন্ত সাপেক্ষে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে মেয়েকে উদ্ধার করে পিবিআই।আজ বুধবার (১০ জুলাই) দুপুরে জেলার কাটলী এলাকায় পিবিআই অফিসের হলরুমে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: শাহীনুর কবীর প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার তুরাগ থানার সুমনের টেক নিশাত নগর এলাকার একটি বাড়ি থেকে ভিকটিম লিয়াকে উদ্ধার করে পিবিআই পুলিশ।ভিকটিম লিয়া আক্তার (২৭) জেলার কেন্দুয়া উপজেলার চন্দলারা গ্রামের আব্দুল খালেকের মেয়ে এবং একই উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের বিদ্যা মিয়ার স্ত্রী।পিবিআই সূত্রে আরো জানা যায়,মেয়েকে লুকিয়ে রেখে জামাইকে ফাঁসানোর জন্য গত ২৩ এপ্রিল নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে নেত্রকোনা আদালতে মামলা দায়ের করে মেয়ের বাবা। মামলাটি পিবিআইয়ের নিকট গেলে তদন্তের পর মেয়ের বাবাকে সন্দেহ করে পিবিআই। এরপর থেকে মেয়ের বাবাসহ তার পরিবার পলাতক রয়েছে। পরে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে তুরাগ উপজেলা থেকে মেয়েকে উদ্ধার করা হয়।এদিকে মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে শ্বশুর-শ্বাশুরিসহ পরিবারের সদস্যদের নামে কেন্দুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন জামাই বিদ্যা মিয়া। মামলার তদন্ত চলমান বলেও জানায় পুলিশ।