অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ
নিজস্ব প্রবিবেদক:
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড মহল্লা খয়রা মোঃ আল-আমিন ফরাসী (২৫) পিতা: মোঃ দাউদ ফরাসী কে রাস্তা থেকে জোর পূর্বক তুলে নিয়ে গলায় হাসুয়া ঠেকিয়ে ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক’ই এলাকার মোঃ জামাল উদ্দিন ও তার ভাই কামাল ও তাদের পিতার বিরুদ্ধে।
ঘটনার শিকার আল-আমিন বলেন, গত ২৭ জুন (বৃহঃপ্রতিবার) অনুমানিক সন্ধ্যা ৭.১০ ঘটিকার সময় আমি তাহেরপুর বাজার হতে মটর সাইকেল যোগে বাড়ীতে আসার পথে আমার গ্রামের (খয়রা) মোঃ হানিফ মৌলবি এর বসত বাড়ীর পার্শ্বে পৌঁছা মাত্ররই হটাৎ করে মোঃ কামরুল ইসলাম কমিন ও মোঃ কামাল প্রাং ,মোঃ জামাল উদ্দিন আমার মটর সাইকেলে গতিরোধ করে দাঁড়ায় এবং আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে।
এক পর্যায়ে জামাল ও কামাল আমাকে মটর সাইকেল হতে টানা হেচড়া করে নামায় এবং জোর পূর্বক ভাবে তাহাদের বসত বাড়ীতে নিয়ে যায় এবং তাহাদের শয়ন ঘরের ভিতরে আমাকে আটকে রেখে জামাল ও কামাল আমাকে এলোপাতাড়ী কিল, ঘুষি, লাথি মারতে থাকে এ সময় জামাল ও কামাল আমার কাছে থাকা পুকুরের মাছের খাবার কেনার টাকা কোমরে লুঙ্গির মুড়ায় থাকা ২,৯০,০০০/— (দুই লক্ষ নব্বই হাজার) টাকা ছিনিয়ে নেয়।
পরে জামাল ও কামাল তাহাদের হাতে থাকা হাসুয়া আমার গলায় ঠেকিয়ে ৩০০/— (তিনশত) টাকা ষ্ট্যাম্পে জোর পূর্বক ভাবে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়।
আমাকে মোটর সাইকেল থামিয়ে রাস্তা তেকে তুলে নিয়ে যাবার সময় এলাকার মোঃ আনিছুর রহমান, পিতা: মৃত চিকন মোল্লা ঘটনা স্থলে উপস্থিত থেকে পুরো ঘটনাটি দেখে।
আল-আমিন আরো বলেন, আমার বাবা দাউদ ফরাসী অভিযুক্ত জামাল কে বিদেশে (মালইসিয়া) কাজের উদ্দেশ্যে নিয়ে যায়, বিদেশ গিয়ে জামালকে একটি কাজ দেয় সেই কাজটি জামালের পছন্দ না হওয়ায সেখানে আমার বাবাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ও জামালকে দেশে পাঠানোর কথা বলে এক পর্যায়ে আমার বাবা জামালকে দেশে পাঠিয়ে দেয় এবং জামাল দেশে আসার পরে বিদেশ পাঠানোর কোন প্রকার টাকা তার দাবি থাকবে না বলে বাবাকে জানান।
কিন্তু গত কোরবানির ঈদের আগের দিন জামাল দেশে আসে এবং গত ২৭ তারিখে সেই বিদেশে যাওয়াকে কেন্দ্র করে সে টাকা ফেরত নিবে বলে আমার উপরে এ ধরনের হামলা চালায়, আমি এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত জামাল ও কামালের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান, বিদেশে টাকা নিয়ে তাদের মাঝে কোন ধরনের সমস্যা নাই এবং বলেন গত ২৭ তারিখে আলামিনকে ধার দেওয়া ৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ফেরত চাইলে তাদের মাঝে বাগবিতণ্ডার বা সমান্য কথা কাটা-কাটি হয় এছাড়া আর কিছুই নয়।
জামালের পিতা জানান যে, গত মে মাসের ২ তারিখে আলামিনকে ৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ধার দেয়া হয় দুই মাস মেয়াদে ,সেই টাকা বর্তমানে তাদের প্রয়োজন হওয়ায় আলামিনের কাছ থেকে ফেরত চাইলে তালবাহানা শুরু করে বিধায় আল- আমিনের সাথে বাগবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আনিসুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান কামাল এবং জামাল ও তার পিতা কে আলামিন কে রাস্তায় মটাসাইলেক থামিয়ে তুলে নিয়ে যেতে দেখে, কিন্তু স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওযার বিষয়টি তিনি দেখেনি।
এ বিষয়ে আল-আমিন সেই দিনই বাগমারা থানায় এ বিষয়ে মোঃ কামাল , মোঃ জামাল এবং তাদের পিতা মোঃ কামরুল ইসলাম কমিনকে আসামি করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
অভিযোগের বিষয়ে বাগমারা থানার ওসি অরবিন্দ সরকার-এর সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান থানার কাজে বাইরে থাকায় বিষয়টি তিনি পুরোপুরি অবগত নেই, তবে অভিয়োগ দিয়ে থাকলে ঘটনাটি তাহেরপুর পৌরসভার ফলে তদন্তের জন্য তাপেরপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে পাঠানো হয়েচছ এ বিষয়ে তাহেরপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে যোগাযোগ করুন ।