শ্রীপুরে সোনালী ব্যাংক থেকে গ্রাহককে জাল নোট দেওয়ার অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ ব্যাংক কর্তৃপক্ষের
মুজাহিদ শেখ, শ্রীপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি
মাগুরার শ্রীপুরের সোনালী ব্যাংক থেকে গ্রাহককে জাল নোট দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষও পাল্টা অভিযোগ করেছেন।
ব্যাংকের বিরুদ্ধে অভিযোগটি করেছেন শ্রীপুর উপজেলার টুপি পাড়া গ্রামের মৃত শের আলী খান এর স্ত্রী ও সোনালী ব্যাংক শ্রীপুর শাখার গ্রাহক মোছা. শিউলী বেগম।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত রবিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে শ্রীপুর সোনালী ব্যাংকে আমার একাউন্ট থেকে ৭০ হাজার তুলি। এক বান্ডিলে ১’শ টি ৫০০ টাকার নোট ও ২০ টি এক হাজার নোট দেয় ব্যাংক। আমি এই টাকাগুলো শ্রীপুর অগ্রণী ব্যাংকে আমার ছেলে মোস্তফা খানের একাউন্টে দিতে গেলে কাউন্টারে ৫০০ টাকার বান্ডিল নেন। পরে এক হাজার টাকার নোটগুলো হাতে নেওয়ার সাথে সাথে এক হাজার টাকার একটি নোট কাউন্টারম্যান ছিড়ে দেন। এবং বাকি ১৯ হাজার টাকা জাল বলে দ্রুত সেখান থেকে তুলেছি সেখানে ফেরত দিতে বলেন। আমি টাকাগুলো ফেরত দিতে গেলে সোনালী ব্যাংকের কাউন্টারম্যান নানান তালবাহানা শুরু করেন। পরে অনেক কষ্টে টাকাগুলো ফেরত দিতে পারলেও ছেড়া ওই জাল নোটটি ফেরত নেয়নি ব্যাংক। এখন তারা এমন অপপ্রচার চালাচ্ছে যে, আমি নাকি জাল টাকা বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়ে তাদের হেনস্তা করছি।
এ বিষয়ে শ্রীপুর অগ্রণী ব্যাংকের কাউন্টারম্যান বাবু ভুক্তভোগী ওই নারীকে এক হাজার টাকার সম্পূর্ণ টাকাগুলো জাল বললেও সাংবাদিকদের কাছে তিনি উল্টো বক্তব্য দিয়েছেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রবিবার দুপুরে এক মহিলা ব্যাংকে ৭০ হাজার টাকা জমা দিতে আসেন। তার মধ্যে ১’শ খানা ৫০০ টাকার নোট ও ২০ খানা এক হাজার টাকার নোট। এক হাজার টাকার নোটের বান্ডিলে ১ খানা জাল নোট পাওয়া যায়। পরে তিনি ওই টাকাগুলো জমা না দিয়ে টাকাগুলো ফেরত নিয়ে চলে যান৷
এ বিষয়ে শ্রীপুর সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার কামাল আহম্মেদ জানান, আমাদের ব্যাংক থেকে দেওয়া সম্পূর্ণ টাকার মধ্যে কোন জাল টাকা ছিল না। অভিযোগ দিয়ে বলেন ওই মহিলার কাছে যে টাকা ছিল হয়তো তার মধ্যে জাল টাকা ছিল।
এ বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. মমতাজ মহল বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তের পর আসল ঘটনা জানা যাবে।