এক হতভাগ্য পিতার আর্তনাদ, পরিবারের নিষ্ঠুর নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে আজ ঈদের দিনও ঘুরছে পথে পথে
মোঃ মোবারক হোসেন নাদিম
নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি
নরসিংদী ভেলানগর জেলখানা পূর্ব পাশে খন্দকার মফিজুল ইসলাম ভবন নির্মাণের সেই বাড়িটি। আলোচিত ব্যক্তি ও হতভাগ্য পিতা খন্দকার মফিজুল ইসলাম (মাহাবুব মাষ্টার) ছেলে মেয়ে ও আত্মীয় স্বজনরা মিলে রাতের অন্ধকারে নিজ বাসভবন থেকে নির্মম নির্যাতন ও প্রতারণা জালিয়াতির এবং অর্থ আত্মসাৎ এর মাধ্যমে বাসা থেকে বাহির করে দেয়।
উনার অভিযোগ আমার বাড়ি আমার বাসায় আমাকে ডুকতে দেয়না। আমি একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। আমি সমাজের উচ্চবর্গের ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আকুল আবেদন করছি, কি অপরাধ ছিলো আমার, আমি অতি কষ্টে ছেলে মেয়েকে সু শিক্ষায় শিক্ষিত করেছি কিন্তু মানুষ করতে পারিনি। আমার নিজ অর্থে তিনতলা বাড়ি বানিয়ে আজ আমি রাস্তা রাস্তায় ভবঘুরের মত জীবন যাপন করছি। আজ ঈদের দিন সকল মানুষের আনন্দের দিন। আমি রাস্তায় রাস্তায় না খেয়ে অতি কষ্টে ঈদ বিহীন জীবন কাটাচ্ছি। আমার পাশে আপনজন বলতে কেউ নেই। আমার বাড়ি নির্মাণেরন এখনো অনেক টাকা বাকি আছে, পাওনাদার টাকা চাচ্ছে আমি দিতে পারছি না। আমার খাবারের টাকাই নাই কিভাবে আমি পাওনাদারদের তাগাদা ও টাকা পরিশোধ করবো। আমার স্ত্রী একজন সরকারি কর্মকতা ছিলো তার মৃত্যুর পর পেনশনের টাকায় সকল কিছু ছেলে মেয়েরা ও আত্মীয়স্বজনেরা জোরপূর্বক প্রাণনাশের হুমকির মাধ্যমে সকল অর্থ নিয়ে গেছে। অনেকে বলছে ছেলেরা খারাপ পথে চলে গেছে এজন্য তাদের স্বাধীনভাবে চলাফেরা ও আনন্দ ফুর্তি করার জন্য আপনাকে রাস্তায় নামিয়ে দিয়েছে।
আমাদের সংবাদদাতা জানান, খন্দকার মফিজুল ইসলামের সাথে ঈদের আগের দিন দেখা হয়,তখন তিনি বলেন আগামীকাল ঈদের দিন আমি কি করবো কোথায়? যাবো? আমার আপন বলতে কেউ নেই বলে তিনি অঝোরে কাঁদতে থাকেন, আমি কি বলবো কিভাবে শান্তনা দিবো ভাষা খুঁজে পাইনি শেষমেশ বলে উঠি আমার বাড়িতে চলেন কিন্তু সে আসেনি আত্ম সম্মানের ভয়ে।
মফিজুর রহমান সমাজের উচ্চব্যক্তিবর্গের প্রতি ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহবান জানান তার সমাজে বেচে থাকার মত প্রাপ্য টুকু ফিরিয়ে দিয়ে বাকি জীবনটাকে যেন একটু সুখে শান্তিতে বসবাস করে যেতে পারেন।