1. sheikhrobirobi008@gmail.com : dailynayakontho :
  2. nayakontho@gmail.com : nayakontho :
  3. admin@dailynayakontho.com : unikbd :
সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ০৬:০৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
আমতলীতে ১২ হাজার ফলদ গাছের চারা ও ৪ হাজার ছাতা বিতরন মা নানা ও দাদীর পর নাতিরও মৃত্যু আমতলীতে সড়ক দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া নবজাতক মারা গেছে নাটোরে বিএসটিআইয়ের মান সনদ ছাড়া মিষ্টি বিক্রি, দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা টাঙ্গাইল মির্জাপুরে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় নিহত ১ জন ধামইরহাট থানায় প্রশ্নপত্র তছনছ কাণ্ডে ওসিসহ ৬ পুলিশ প্রত্যাহার শেরপুর জেলা পুলিশের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৬৮তম টিআরসি ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত বাগমারা রাজশাহীর ওসি,এসিল্যান্ড ও ইউএনও’র অপসারণ সহ ৫ দফা দাবীতে সংবাদ সম্মেলন ধামইরহাটে প্রশ্নপত্র চুরির প্রতিবাদে মানববন্ধন মেহেরপুর সদর উপজেলা ইটভাঙ্গা মালিক সমিতির দ্বিবার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন

সুন্দরবনে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা: দুশ্চিন্তায় সুন্দরবনের জেলেরা। ডেইলি নয়া কণ্ঠ

  • প্রকাশিতঃ শনিবার, ১ জুন, ২০২৪
  • ৮৫ বার পঠিত

সুন্দরবনে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা: দুশ্চিন্তায় সুন্দরবনের জেলেরা

কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধিঃ

বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের বঙ্গোপসাগর উপকূলবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত একটি প্রশস্ত বনভূমি যা বিশ্বের প্রাকৃতিক বিস্ময়াবলীর অন্যতম ‌।পৃথিবীর বৃহত্তম নিরবিচ্ছিন্ন জোয়ার ধৌত ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিম অংশের খুলনা জেলায় অবস্থিত।
সুন্দরবনের নদী- খালে মাছ ও বনে প্রাণীদের বিচরণ ও প্রজনন কার্যক্রমের সুরক্ষায় আজ থেকে টানা তিন মাসের জন্য বন্ধ থাকছে। এ সময় সুন্দরবনের সব নদী ও খালে মাছ ধরা বন্ধের পাশাপাশি পর্যটক প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে সুন্দরবনে প্রবেশের সব ধরনের পারমিট।
সরকারি এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বন বিভাগের কর্মকর্তারা। এ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল পেশাজীবীরা।
পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) এ কে এম ইকবাল হোছাইন চৌধুরী নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জুন থেকে আগস্ট- এই ৩ মাস সুন্দরবনের নদী-খালে মাছের প্রজনন মৌসুম হিসেবে ধরা হয়। এই তিন মাস সুন্দরবনের নদী ও খালে থাকা বেশিরভাগ মাছ ডিম ছাড়ে। এছাড়া এই সময়ে বন্য প্রাণীরও প্রজনন মৌসুম।
তিনি আরো বলেন, ‘এই তিন মাস বনে পর্যটক ও জেলে না গেলে বনের জীববৈচিত্র্য ও বন্যপ্রাণী নিরাপদ থাকবে। ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে সুন্দরবনে প্রাণী ও জীববৈচিত্র্যের যে ক্ষতি হয়েছে, তা দ্রুত কাটিয়ে উঠবে।
অন্যদিকে সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু নাসের মোহসিন হোসেন বলেন, আগামীকাল থেকে তিন মাসের জন্য জেলে-বাওয়ালিদের সুন্দরবনে প্রবেশ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একইসাথে পর্যটকরাও এই সময়ে সুন্দরবনে প্রবেশ করতে পারবে না। ১ সেপ্টেম্বর থেকে পুনরায় সবার জন্য সুন্দরবনের দরজা খুলে দেয়া হবে।
বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, সুন্দরবনে মৎস্য সম্পদ রক্ষায় সমন্বিত সম্পদ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনার (আইআরএমপি) সুপারিশ অনুযায়ী, ২০১৯ সাল থেকে প্রতিবছরের ১ জুলাই থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত দুই মাস সুন্দরবনের সব নদী ও খালে মাছ আহরণ বন্ধ থাকত। ২০২১ সালে মৎস্য বিভাগের সাথে সমন্বয় করে এ নিষেধাজ্ঞা এক মাস বাড়িয়ে ১ জুন থেকে করা হয়েছে। সেই থেকে ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তিন মাস বনের সব নদী ও খালে মাছ আহরণ বন্ধ রাখা হচ্ছে। এ সময় পর্যটক প্রবেশ, সাধারণ মানুষের চলাচলসহ সুন্দরবনের নদী-খালে মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকবে।
বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সুন্দরবনে প্রায় ২৮৯ প্রজাতির স্থলজ প্রাণী বাস করে। এছাড়া আছে প্রায় ৪২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৩৫ প্রজাতির সরীসৃপ, আট প্রজাতির উভচর, বিভিন্ন প্রজাতির মাছসহ ২১৯ প্রজাতির জলজ প্রাণী। বনের নদী ও খালে নৌযান চলাচল করলে মাছের ডিম ছাড়তে সমস্যা হবে, তাই সব ধরনের নৌযানও বন্ধ থাকবে।
খুলনার বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, সরকারি সিদ্ধান্তে ২০২১ সাল থেকে ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনের সব ধরনের সম্পদ আহরণ নিষিদ্ধ রয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় এ বছরেও এটা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। মূলত সুন্দরবনের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্যসহ মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে এই তিন মাসব্যাপী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়ে থাকে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সুন্দরবনে প্রবেশ তিন মাস বন্ধ থাকবে। তবে এই সময়ে জেলেদের মৎস্য অধিদফতরের মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে।
বনজীবীদের মধ্যে কয়েকজনের সাথে কথা হলে তারা জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমালের সঙ্কেত শুনে ঝড়ের আগেই তারা সুন্দরবন থেকে লোকালয়ে ফিরেছিলেন। এরপর আর বন বিভাগ থেকে বনে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়নি। সুন্দরবনে মাছ, কাঁকড়া ও মধু আহরণ করেই সংসার চলে তাদের। তিন মাস পাস বন্ধ থাকবে। এক সপ্তাহ আগে ঝড়ের সঙ্কেত শুনে বন থেকে বাড়িতে ফিরেছে তারা। ফলে খুব বেশি মাছ ধরতে পারেননি। সামনের তিন মাস বন্ধের সময় সংসার চালানোর মতো সঞ্চয় করা টাকাও নেই। এ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল পেশাজীবীরা।

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
২০২৫ © সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed By UNIK BD