শান্ত সিঙ্গাশোলপুর ইউনিয়ন এখন
অশান্ত
নড়াইল প্রতিনিধিঃ
নড়াইলের সিঙ্গাশোলপুর ইউনিয়নে ৫ ই আগস্টের প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পর থেকে নিউটন গাজী ও তার দোসরদের নেতৃত্বে চলছে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ লুটপাট এমনটাই অভিযোগ স্থানীয় এলাকাবাসীর।
বিগত আওয়ামী লীগের সময়
সাংসদ মাশরাফি বিন মোর্ত্তজার নাম ব্যবহার করে তার পিতা গোলাম মোর্তজা স্বপনের ছত্রছায়ায় গোবরা এলাকার নিউটন গাজী ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন।
নিজেকে বড় আওয়ামী লীগ নেতা জাহির করার জন্য এলাকার সাবেক চেয়ারম্যান উজ্জল শেখের সাথে এলাকার আধিপত্য নিয়ে বিবাদে জরিয়ে গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নিজেকে আলোচনায় আনতে রাতের আধারে নিজেই নিজের প্রাইভেট কারে আগুন দিয়েছেন এমন অভিযোগ রয়েছে এলাকাবাসীর ।
ফলাফল হিসেবে এম পি’ র পিতা গোলাম মোর্ওজা স্বপন ও উপজেলা চেয়ারম্যান আজিজ ভূইয়ার নজরে আসেন তাদের সহায়তায় সাবেক চেয়ারম্যান উজ্জল শেখকে মামলা দিয়ে জেল হাজতে পাঠাতে সক্ষম হন।এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে শুরু করেন তান্ডব।
কিন্তু বিধি বাম, জুলাই বিপ্লবে ছাত্র আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়, সেই সাথে সাবেক সাংসদ ও তার পিতাও আত্নগোপনে চলে গেলে নিউটন গাজী পড়েন বেকায়দায়। জেলা বি
এন পি’র এক নেতার আশ্বাসে রাতারাতি আওয়ামী লীগ থেকে বি এন পি’র কর্মী হয়ে যান।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রোফাইলে মাশরাফির ছবি বাদ দিয়ে বি এন পি চেয়ারপার্সনের ছবি আপলোড করে তিনি হয়ে উঠেন বিগত ১৬ বছরের বি এন পির নির্যাতিত কর্মী।
৫ ই আগস্টে গোবরা বাজার এলাকায় সাবেক চেয়ারম্যান উজ্জলের ভাগ্নে মনিরের সার ঔষধের দোকান সহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর লুটপাট চালায় নিউটন গাজী ও তার সহযোগীরা, হাতিয়ে নেয় মোটা অংকের টাকা ও মালামাল।
সর্বশেষ ৭ ই মার্চ রাতে সিংগাশোল ইউনিয়নের গোবরা বাজারে শিংগাশোলপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবু মোল্লা,গোবরা গ্রামের নিউটন গাজী এবং একই গ্রামের সৈয়দ ওয়াজেদ আলীর উপর কে বা কারা বোমা হামলা চালায়।
এতে ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবু মোল্লা,গোবরা গ্রামের নিউটন গাজী এবং একই গ্রামের সৈয়দ ওয়াজেদ আলী আহত হন, স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আহত সৈয়দ ওয়াজেদ আলী কে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করেন।
এই হামলার ঘটনা কে পুজি করে ঢাকা সহ বিভিন্ন যায়গায় অবস্থান করা ব্যক্তিদের আসামীকরে ১০ ই মার্চ নড়াইল সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। হামলায় আহত বাবু মোল্যা বাদী হয়ে সাবেক সিংগাশোলপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান উজ্জল শেখ সহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি করেন।
এ বিষয়ে সিংগাশোলপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান উজ্জল শেখ জানান, আমি তিন মাস ঢাকায় অবস্থান করছি,সম্প্রতি বাড়ি যাওয়ার ইচ্ছা পোষন করেছিলাম, তাই হয়তবা এই বোমা হামলার ঘটনা। এই নিউটন গাজী এই এলাকার মানুষ না, তার নামে ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশে চুরি ডাকাতি ধর্ষন সহ অনেক মামলা বিচারাধীন, কোন বি এন পি জামায়াতের লোকের দ্বারা আমি ক্ষতিগ্রস্থ হইনি, তাদের সাথে আমার সম্পর্ক ভালো। নিউটন গাজী আমার বাড়িতে আগুন দিয়েছে, গোবরা স্ট্যান্ডে নিজে গুলি করে সেই গুলির খোসা দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছে।আমার পরিবারের কোন মানুষ শান্তিতে নেই, শুধু আমার সাথে আত্মীয়তার সম্পর্ক থাকায় তারা হামলা মামলার স্বীকার হচ্ছে। মামলার আসামী হচ্ছে।
আমি নড়াইলের প্রশাসনের কাছে এই দাগী অপরাধী নিউটন গাজীর বিচারের দাবী জানাই।
স্থানীয় এলাকাবাসী জলিল শেখ পিতা কুটি মিয়া শেখ,রিংকু পিতা জাফর মাষ্টার, ফরহাদ খন্দকার, আহমদুল শেখ পিতা মোসলেম শেখ, দোলেনা,জেসমিন পিতা জলিল শেখ জানান, এই নিউটন গাজীর বাড়ি খুলনায়, সে এই এলাকার মানুষ না। ৫ ই আগস্টের আগে ছিল এমপি মাশরাফি লোক, আর এখন হয়েছে বি এন পি’ র কর্মী। তার বিরুদ্ধে ঢাকাসহ বিভিন্ন থানায় যৌন নিপিড়ন মাদক, ডাকাতি সহ
অনেক মামলা রয়েছে।
আমরা এই ধরনের একজন
দাগী অপরাধীর দ্বারা প্রতিনিয়ত অত্যাচারের শিকার হচ্ছি।আমরা নিউটনের হাত থেকে বাঁচতে চাই।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা বি এন পি’র সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান আলেক জানান, সিংগাশোলপুর ইউনিয়নের নিউটন গাজী বি এন পি’র কেউ না। তার সাথে বি এন পি’র কোন সম্পৃক্ততা নেই।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা বি এন পি’র সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুর রহমান পলাশ জানান, বোমা হামলায় আহত বাবু মোল্যা আমাদের কর্মি,এছাড়া নিউটন গাজী ও সৈয়দ ওয়াজেদ আলী আমাদের দলের কেউ না,