ক্যান্সারে আক্রান্ত সিনহা বাঁচতে চায়।
স্টাফ রিপোর্টার, মোঃ রাজিবুল ইসলাম।
ক্যান্সার আক্রান্ত সিনহার খোলা চিঠি সবার উদ্দেশ্যে:
১০ বছরের এই মাসুম শিশুটির কথা শুনে বুঝতেই পারবেন না ওর ভিতরে বাস করছে মরণব্যাধি ব্লাড ক্যান্সার। প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করে যাচ্ছে ক্যান্সারের সাথে।
মেয়েটার নাম সিনহা, টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল থানার সন্ধানপুর ইউনিয়নের পলাশ তলী গ্রামের অসহায় ভ্যান চালক মোঃ আলমের মেয়ে।
সিনহার শরীরে ক্যান্সার ধরা পড়ার পর হসপিটালে ভর্তি করার সাহস পাচ্ছিল না তার অসহায় ভ্যান চালক বাবা মোঃ আলম। ক্যান্সারের চিকিৎসায় প্রায় ৮ থেকে ১০ লাখ টাকার প্রয়োজন যা অসহায় ভ্যান চালক বাবার পক্ষে সংগ্রহ করা কোনভাবেই সম্ভব নয়।
তারপরেও নিজের সম্বল যা ছিল বিক্রি করে মেয়েটির চিকিৎসা করানোর চেষ্টা করে। কিন্তু কিছুদিন পর তার সকল টাকা শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে বন্ধ হয়ে যায় সিনহার চিকিৎসা।
ঠিক তখনই ঘাটাইলে সেবা ফাউন্ডেশনের সদস্যরা খবর পায় সিনহার এবং ছুটে যায় সিনহার বাড়িতে। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় টাকা যতই লাগুক সবাই মিলে চেষ্টা করে এই মাসুম বাচ্চাটার ক্যান্সারের ট্রিটমেন্ট করাবো। টিম সেবা ফাউন্ডেশন শুরু করে টাকা সংগ্রহের যুদ্ধ । আপনাদের সকলের সহযোগিতায় কিছু টাকা সংগ্রহ হয়।
১৮ ডিসেম্বর ২০২৩ সিনহাকে নিয়ে যাওয়া হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়। সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর ডাক্তাররা ভর্তির জন্য সিরিয়াল দিয়ে দেয়। ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ সিনহার শরীরে রক্তের পরিমাণ একেবারেই কমে যাওয়ায় ইমার্জেন্সি ভাবে ভর্তি করানো হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় ( পিজি) তে। শুরু হয় ক্যান্সারের চিকিৎসা।
সেকেন্ড ক্যামো দেওয়ার পর হটাৎ শরিলে পক্সের দেখা মেলে। ডাঃ সাময়িক ছুটি ঘোষণা করে। তাই বাড়ীতে নিয়ে আসা হয় সিনহাকে । বাড়িতে এক রাত ঠিক মত থাকার পর, পরের দিন রাতে হটাৎ করেই সিনহার খিচুনি শুরু হয়, সেই সাথে নাক মুখ দিয়ে অনবরত রক্ত আসতে থাকে। অবস্থা হয়ে যায় আশঙ্কাজনক। বিলম্ব না করে আবারও নিয়ে আসা হয় ঢাকাতে ভর্তি করানো হয় ঢাকা মেডিকেলে। শরীরে পক্স ওঠায় ঢাকা মেডিকেলও ভর্তি রাখে না সিনহাকে। রেফার্ড করে দেয় সংক্রমণব্যাধি হাসপাতাল মহাখালীতে। বর্তমানে এখানেই চিকিৎসা চলছে সিনহার।
এ পর্যন্ত আপনারা যে টাকা দিয়েছেন দেশে এবং বিদেশে থেকে সেই টাকা দিয়ে সিনহার চিকিৎসা চলছে। সিনহা সবসময়ই আপনাদের প্রাপ্তি স্বীকার পোস্টগুলো দেখতে পছন্দ করে। সিনহা তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী ছিল তাই নিজেই বানান করে আপনাদের নাম পড়তে পারে। যখন একটু ভালো লাগে আর্থিক সহযোগিতার প্রাপ্তি পোস্ট গুলো দেখতে চায়। প্রাপ্তি পোস্ট গুলো দেখে ওর খুব ভালো লাগে। ও ছোট থাকলেও সবকিছুই বোঝে। ওর আশেপাশে আমরা যারা থাকি আমাদের যাতে মন খারাপ না হয় সেজন্য সবসময় নিজের কষ্টগুলোকে সহ্য করার চেষ্টা করে। যখন একদমই কষ্টগুলো সহ্য করতে না পারে,
তখন আল্লাহর কাছে আর্তনাদ করতে থাকে।
জাতীয় পত্রিকা সমকাল ও কালের কন্ঠতে ছাপানো হয় সিনহার বাঁচার আকুতি।
সেচ্ছাসেবী সংঘঠন ম্যান ফর ম্যান ফোর্স এর প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক মোঃ রাজিবুল ইসলাম সংঘঠনের সকল সদস্য ও শুভাকাঙ্খীর মাধ্যমে সিনহার চিকিৎসার জন্য আর্থিক সাপোর্ট দেওয়ার জন্য ও সুস্থতার জন্য দোয়া কামনা করেছেন।
সিনহা বাঁচতে চায়, বই হাতে আবারো যেতে চায় স্কুলে। সিনহার অসহায় বাবার পক্ষে ক্যান্সারের চিকিৎসা করানোর একেবারেই সম্ভব নয়। তাই আসুন,
আমরা সকলে মিলে আমাদের দৈনিক খরচ থেকে কিছু টাকা সিনহার চিকিৎসার জন্য দেই।
কত টাকাই তো আমরা কত দিকে খরচ করি এই মাসুম বাচ্চাটার চিকিৎসার জন্য না হয় যে যা পারি তাই দিলাম। যদি আমরা দশজনে মিলে চেষ্টা করি তাহলে অবশ্যই সিনহার ক্যান্সারের চিকিৎসা হবে। আল্লাহ চাইলে হয়তো ভালো হয়ে ফিরে আসবে আমাদের মাঝে সিনহা।
দয়াকরে সবাই এগিয়ে আসুন। যে যা পারেন সহযোগিতা পাঠান। আপনাদের দেয়া কিছু অর্থে চিকিৎসা হবে সিনহার। আপনার বিকাশ এ্যাকাউন্ট লগ-ইন করেই দেখুন ব্যাবহার এর পরেও অবশিষ্ট ১টাকা ২ টাকা, বা কয়েক পয়সা পরে আছে আপনার একাউন্ট এ যা আপনার কোন প্রয়োজনে আসবে না। এখন কয়েক পয়সাও সেন্ড মানি করা যায়। প্লিজ সামর্থ অনুযায়ী সবাই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন।
সিনহার সাথে কেহ যোগাযোগ করতে চাইলে 01613975665 নাম্বারে কল করে সরাসরি হাসপাতালে গিয়ে দেখা করতে পারবেন।
বিকাশ ও নগদ এ্যাকাউন্ট (পার্সোনাল) : 01613975665
টাকা রিসিভ করবেন
বিপ্লব হোসেন, দপ্তর সম্পাদক,
সেবা ফাউন্ডেশন।