শেরপুরে ভারতীয় মদ ও ইয়াবাসহ ৪ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার।
মোঃআমিনুল ইসলাম শেরপুর প্রতিনিধি।
শেরপুরে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের মাদকবিরোধী পৃথক অভিযানে ভারতীয় মদ ও ইয়াবা ট্যাবলেটসহ চারজন মাদকব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে ও বুধবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার বাঁশকুড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভারতীয় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ১১৩ বোতল মদসহ মানিকগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার দাশরা গ্রামের মৃত ননী গোপাল সাহার ছেলে কার্তিক চন্দ্র সাহা (৪২) ও শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার নয়াগাঁও গ্রামের মৃত আজাহার আলীর ছেলে মো. আব্দুল হালিমকে (৩০) গ্রেপ্তার করা হয়।
পাশাপাশি, শেরপুর সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের কুসুমহাটি বাজারের চৌরাস্তা মোড় এলাকা থেকে ১ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের টাকিমারী গ্রামের মৃত শামছুল হকের ছেলে মো. আল আমিন (২৪) এবং একই গ্রামের মো. ভুট্টু মিয়ার ছেলে মো. সাদ্দাম মিয়াকে (২২) গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিবি পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শেরপুর জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের এসআই মো. আবু বক্কর সিদ্দিক, এএসআই মো. আলমাছ হোসেন, এএসআই মো. আরিফুল ইসলাম, এএসআই রিপন মিয়া ফোর্সসহ ঝিনাইগাতী উপজেলার সীমান্ত এলাকা বাশকুড়া গ্রামে অভিযান চালায়। ওইসময় ডিবি পুলিশের আভিযানিক দল একটি সিএনজিকে চ্যালেঞ্জ করে গতিরোধ করে এবং সিএনজিটি তল্লাশী করে ভারতীয় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ১১৩ বোতল মদসহ মাদক ব্যবসায়ী কার্তিক চন্দ্র সাহা ও মো. আব্দুল হালিমকে হাতেনাতে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের কাছে এক স্বীকারোক্তিতে তারা জানায়, মদগুলো গাজীপুরে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিল তারা।
অন্যদিকে, বুধবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই মো. আবু বক্কর সিদ্দিক, এএসআই মো. আরিফুল ইসলাম ফোর্সসহ শেরপুর সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের শেরপুর-জামালপুর আঞ্চলিক সড়কে কুসুমহাটি বাজারের চৌরাস্তা মোড়ে মাদক বিরোধী অভিযান চালান।
এ সময় ওই অভিযানিক দল মাদক ব্যবসায়ী মো. আল আমিন ও মো. সাদ্দাম মিয়াকে আটক করে। পরে আল আমিনের দেহ তল্লাশী করে তার পরিহিত প্যান্টের পকেট থেকে ৬০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং মো. সাদ্দাম মিয়ার পরিহিত প্যান্টের পকেট তল্লাশী করে ৪০০ পিসসহ মোট ১ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ওইসব ঘটনায় শেরপুর সদর ও ঝিনাইগাতী থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।