রামেকে ভুয়া চিকিৎসক গ্রেফতার
____________রাজশাহী ব্যুরো
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওটি থেকে সামিউর রহমান (২৭) নামের এক ভুয়া চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা।
২৯ ডিসেম্বরে (শুক্রবার ) দিনগত রাত ১২টার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ওই ভুয়া চিকিৎসক নগরীর উপ ভদ্রা এলাকার রাশেদুর রহমানের ছেলে।
রামেক পুলিশ বক্সের ইনচার্জ মো: মুকুল শেখ গণমাধ্যমকে জানান , তার শরীরে দামি পোশাক। তার ওপর চিকিৎসকদের ব্যবহৃত অ্যাপ্রোন। কাঁধে ঝুলানো স্ট্যাথোসকোপ।গলায় রয়েছে আইডি কার্ড। আর হাতের আঙ্গুলে বেশ কয়েকটি স্বণের আংটি। যে কেউ প্রথম দেখলে মনে করবেন তিনি একজন এমবিবিএস চিকিৎসক।
কিন্তু আসলে তিনি কোন চিকিৎসক নন। ভুয়া এসব আইডি কার্ড ব্যবহার করে প্রায়ই আসতেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতেন।
অবশেষে শুক্রবার রাতে ওই ভুয়া চিকিৎসককে আটক করা হয়েছে।
পরে তার নামে একটি প্রতারণা মামলা দায়ের করে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায় , অ্যাপ্রোন পরিহিত অবস্থায় জরুরি বিভাগে ‘ওটি’ করার জন্য ঢুকেন ওই ভুয়া চিকিৎসক। এ সময় কত্যর্বরত নার্সদের কাছে মাস্ক ও ওটির পোশাক চান। সেগুলো দিতে না পারায় নার্সদের ওপর তিনি চড়াও হন। পরে ওই ব্যাক্তির আচরণে সন্দেহ হলে তাকে পুলিশে দেওয়া হয়।
তবে ওই ভুয়া চিকিৎসকের দাবি, তার স্বপ্ন ছিলো বড় চিকিৎসক হওয়ার। কিন্তু পারিবারিক সমস্যার কারণে সেটি হয়ে ওঠেনি। তাই পরিবার ও আত্মীয় স্বজনদের তিনি রামেক হাসপাতালের একজন চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে আসতেন সম্প্রতি তিনি এই পরিচয়ে এক নারীকে বিয়েও করেছেন। এ ছাড়াও তিনি মাঝে মাঝে শখের বসে এসে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতেন।
এদিকে, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আনসার (পিসি) শহিদুল ইসলাম জানান, প্রথমে গ্রেফতারকৃত সামিউর রহমান ভুয়া চিকিৎসক হিসেবে নিজেকে স্বীকার না করলেও পরে জানান তিনি কোন চিকিৎসক নন। এরপর তাকে আটক করে রামেক হাসপাতালে পুলিশ বক্সে নিয়ে আসা হয়।
উল্লেখ্য, গ্রেফতারকৃত ভুয়া চিকিৎসক সামিউর রহমান নিজেকে ইসলামী ব্যাংক ইনিস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলোজির শিক্ষার্থী দাবি করলেও সেটির পক্ষেও কোন প্রমাণ দেখাতে পারেননি তিনি।