রাজবাড়ী প্রতিনিধি ঃ উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করে দীর্ঘদিন যাবত পদ্মনদী থেকে উত্তোলন করা হচ্ছে অবৈধ বালু। এ নিয়ে বারবার বিভিন্ন জাতীয় গণমাধ্যম ইলেকট্রনিকস ও প্রিন্ট মিডিয়ায় সংবাদ প্রচারিত হলে আইনি কোন প্রকার ব্যবস্থা নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। অবৈধ বালু উত্তোলন নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এমন নিরবতা বা দায়িত্বহীনতার কারণ’কে, সুযোগ মনে প্রভাবশালী একটি মহল রাতারাতি কামিয়ে নিচ্ছেন কোটি কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার ২৩শে নভেম্বর বিকালে রাজবাড়ীর লালগুলা এলাকায় অবৈধ বালুবাহী প্রায় শতাধিক বাল্কহেড নোঙর করে থাকার এমন দৃশ্য চোখে পড়ে সাধারণ মানুষের। এমন ঘটনায় অত্র এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় সাংবাদিকরা। পরে এক প্রশ্নে বাল্কহেড চালকদের জিজ্ঞেস করা হয়, আপনারা এখানে নোঙর করে বসে আছেন কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তারা জানান, দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় নৌপুলিশ রয়েছে, তাই এখানে নোঙর করে দাঁড়িয়ে আছে। গভীর রাতে সুযোগ বুঝে বালুবাহী বাল্কহেড নিয়ে গন্তব্যে
চলে যাবো। তখন পাল্টা প্রশ্ন করা হয়,নৌপুলিশ আছে তাতে সমস্যা কি? তারা উত্তরে বলেন, এই বালু পাবনার তারাপুর হতে উত্তোলন করা হয়েছে। যার কোন সরকারী অনুমতি নেই। তাই নৌপুলিশ ধরতে পারলে জরিমানা সহ মেরিন আইনে মামলা দিয়ে বাল্কহেড আটক করতে পারে।
উল্লেখ্য, উচ্চ আদালতের রায় অনুসারে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরীঘাট এলাকা হইতে পাবনার পাঁকশি পর্যন্ত পদ্মা নদীতে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন, পরিবহন ও বালুবাহী বাল্কহেড চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও মানা হচ্ছে না তা। প্রকাশ্যে পাবনার তারাপুরে কোন রকম ইজারা ছাড়াই প্রতিদিন উত্তোলন করা হচ্ছে কোটি কোটি টাকার অবৈধ বালু। আর এসমস্ত বালু পরিবহনে ব্যবহার করা হচ্ছে শতাধিক অনিবন্ধিত ও ফিটনেস বিহীন বাল্কহেড করে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মুন্সিগঞ্জ,চাদপুর,ভোলা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ফলে একদিকে কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার অন্যদিকে নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে রাজবাড়ী ও পাবনা সহ একাধিক জেলা।
এবিষয়ে দৌলতদিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জ জেএম সিরাজুল কবির এর মুঠোফোনের এই নাম্বারে বারবার ০১৭১১১৩৯০৪২ ফোন দেওয়া হলে, তার ফোনটি রিসিভ করেন
এএসআই নজরুল ইসলাম। পরে তিনি বলেন, স্যার অসুস্থ ঘুমিয়ে আছে। ঘুম থেকে উঠলে আমি আপনাকে ফোন দিতে বলবো।